থানাতেই কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাবালিকা কিশোরী মেয়ে নিখোঁজ হবার দু’মাস পরেও পুলিশে ভরসা হারিয়ে এবার পরিবার শরণাপন্ন হল আদালতের,শোরগোল শীতল চক্রবর্তী ১১জুন দক্ষিণ দিনাজপুর।সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কাজে থানাতেই কর্মরত রয়েছেন মা।তারই নাবালিকা কিশোরী মেয়ে(১৫)দুমাস আগে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবশেষে মেয়েকে ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ওই নিখোঁজ নাবালিকার বাবা ও মা সিভিক ভলেন্টিয়ার।
অভিযোগ,”বিক্রি হয়ে যেতে পারে তাদের মেয়ে তাই পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেক সেই দাবি জানাই।” পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।ব্যাপক শোরগোল পরেছে শহরজুড়ে।
নিখোঁজ নাবালিকা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,গঙ্গারামপুর শহর এলাকার নারায়নপুর হাইস্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সে।গত দুই মাস আগে ১১এপ্রিল দশম শ্রেণীর ছাত্রীই শেষ ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ওই কিশোরী ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়।কিন্তু পরীক্ষা দিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি সেই নাবালিকা বলে জানা গিয়েছে।বহু খোঁজাখুঁজির পরেও মেলেনি নাবালিকার খোঁজ,অবশেষে থানায় দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার বাবা ও মা।ঘটনার প্রায় দুই মাস হতে চলেছে এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর পরিবার। পরিবারের অভিযোগ মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গঙ্গারামপুর শহরের বুরুজ পাড়ার বাসিন্দা উত্তম রায়ের ছেলে শুভঙ্কর রায়(২৪) বিভিন্ন রকমের প্রলোভন ও ভুল বুঝিয়ে রাস্তা থেকে তার নাবালিকা মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তাদের। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ উঠেছে ,”শুভঙ্কর রায়ের বাবা উত্তম রায়ের সহযোগিতায় মেয়েকে কোনো গোপন জায়গায় আটক করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী তথা কিশোরের পরিবার।নাবালিকা মেয়ের মা গঙ্গারামপুর থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বহু দিন ধরেই।তার পরেও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ বলেও খবর। নাবালিকা কিশোরীর মা সিভিক ভলেন্টিয়ার অভিযোগ করে বলেন,”মেয়েকে খুজতে পুলিশ কোন রকম সহযোগিতা করছে না।দুই মাস হতে চলেছে এখনো নিখোঁজ নাবালিকা মেয়ে।ওরা নিশ্চয়ই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে।অবশেষে বাধ্য হয়ে বুধবার মহকুমা আদালতে দ্বারস্থ হয়েছি দুজনে।জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে নবান্ন ও পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।” গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী সোহেল সরকার বলেন,”সিভিক ভলেন্টিয়ারের মেয়ে কি করে দু মাস ধরে নিখোঁজ থাকে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ,প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাব পুলিশের বিরুদ্ধে।”
গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ,”লিখত অভিযোগ পেয়েছি,পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
