পাচারকারীদের খপ্পর থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলো দুইআলিপুরদুয়ারের নাবালিকা, গঙ্গারামপুর থানায় হাজির হলেন তাঁরা

0
48

পাচারকারীদের খপ্পর থেকে পালিয়ে বসলো দুই আলিপুরদুয়ারের নাবালিকা, গঙ্গারামপুর থানায় হাজির হলেন তাঁরা। শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৬ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর : উপস্থিত বুদ্ধিতে পাচারকারীদের খপ্পড় থেকে পালিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানায় এসে হাজির হল আলিপুরদুয়ারের দুই নাবালিকা। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত নেমেছে।
গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে,আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার সলসলাবাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা আলিপুরদুয়ারের সদরে শ্রমিকের কাজ করেন।শ্রমিকের নাবালিকা মেয়ে রবিবার বাবার কাছে টাকা নিতে তাঁর এক বোনকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারের এসেছিলেন। নবম শ্রেনীর দুই ছাত্রী শ্রমিক বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রবিবার বিকেলে বাড়ি ফেরার জন্য আলিপুরদুয়ার বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে ছিল।সে সময় দুই নাবালিকার সঙ্গে অপরিচিত চার মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়। এদিকে সন্ধ্যে গড়িয়ে আসতেই চার মহিলা দুই নাবালিকাকে গাড়িতে চড়িয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে আসে বলে অভিযোগ।এরপর তাদের কাছ থেকে টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।শিলিগুড়ি এসে দিশেহারা হয়ে পড়ে তাঁরা।বুঝতে পারে পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়েছে। নিজেদের বাঁচাতে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে তাড়াহুড়ো করে বালুরঘাট গামী একটি গাড়িতে উঠে বসে।মাঝপথে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় গঙ্গারামপুরের এক যুবকের। যুবকের ফোন থেকে নাবালিকারা বাড়িতে বিষয়টি জানায়। সে সময় যুবকটি বুঝতে পারেন নাবালিকাদের বিপদে পড়েছে। বিপদের আঁচ পেয়ে তাদের নিয়ে আসে গঙ্গারামপুর থানায়। থানায় পৌঁচ্ছে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ খবর দেয় নাবালিকাদের বাড়িতে।খবর পেয়ে এদিন মেয়েদের নিতে গঙ্গারামপুরে আসেন পরিবারের লোকজন।গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দুই নাবালিকাকে এদিন সিডাব্লুউডিতে পাঠায়।
নাবালিকাদের কথায়,বাবা আলিপুরদুয়ার শহরে শ্রমিকের কাজ করে। বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে আলিপুরদুয়ারে এসেছিলাম।বাড়ি ফিরে যাবার সময় চারজন মহিলার সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়।সন্ধ্যে গড়িয়ে এলে তাঁরা আমাদের গাড়ি করে শিলিগুড়ি নিয়ে আসে। আমাদের কাছ থেকে টাকা সহ অন্যান্য জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়। নানা রকম ভয় দেখায়।তখন আমরা বুঝতে পারি আমাদের খুব বিপদ। তাই নিজের বাঁচাতে মহিলাদের কাছে বাথরুম যাবার নাম করে বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি।সামনে যে গাড়ি পেয়েছি সেই গাড়িতে উঠে গিয়েছে। সকালে যখন গাড়ি থেকে নামলাম।সে সময় জানতে পারি আমরা গঙ্গারামপুরে চলে এসেছি। এক দাদার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি বলি। সেই দাদা আমাদের থানায় নিয়ে আসে। বাড়ির লোকজন এসেছে। এতে একটু স্বস্তি পেয়েছি।
নাবালিকাদের জামাই বাবু বলেন আলিপুরদুয়ারে এসেছিল। এমন হবে ভাবতে পারিনি। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন,”পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here