গঙ্গারামপুরে সিআইডি প্রতিনিধি দল ওম গুপ্তার বড়বাজারের বাড়িতে হানা দিল

0
710

গাজরের নিষিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার জামাইবাবুর বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের পর গঙ্গারামপুরে সিআইডি প্রতিনিধি দল ওম গুপ্তার বড়বাজারের বাড়িতে হানা দিল, বন্ধ করে দেওয়া হল একটি ঘর, উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু কাগজপত্রও

শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, 6 সেপ্টেম্বর ,দক্ষিণ দিনাজপুর । গাজলে মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তের দিদির বাড়ি থেকে কোটি টাকার উপরে উদ্ধার করার পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে আসলেন সিআইডির এক প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাজারে তার বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘর বন্ধ করে দেন তারা। বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছে তারা বলে খবর
। তবে টাকা পয়সা বা নিষিদ্ধ কিছু তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে সিআইডির প্রতিদিন দলের সদস্যরা কিছু বলতে চায়নি। তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কিছু বলেও সিআইডির সাব ইন্সপেক্টর দাবি করেছেন। তদন্তের সাথে থেকে বেশি আর কিছু বলা যাবে না বল জানান তিনি।
কয়েক মাস আগে গঙ্গারামপুরে বড় বাজার এলাকার মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরা পড়েছিলেন ওম গুপ্তা। ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর থানার নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ পাচার করার জন্য একটি মামলার জামিন হয়েছে তার। আরো একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার মামলার ইতিমধ্যেই ওম গুপ্তা সহ বেশ কয়েকজনের নামে চার্জশিট পেশ করেছে আদালতে। ওম গুপ্তা বর্তমানে বালুরঘাটে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে জেলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে সিআইডির প্রতিনিধি দল গাজোলে ওম গুপ্তার জামাইবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে মাছ ব্যবসায়ী জয়দেব সরকারের ঘর থেকে কোটি টাকার উপরে উদ্ধার হয় ,গ্রেফতার করা হয়ে তাকে।
মঙ্গলবার বিকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সিআইডির এক বিশেষ টীম গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজারে মাদক কারবারে উপযুক্ত ওম গুপ্তার বাড়িতে এসে তল্লাশি চালান। সিআইডি জেলার ৫জনের এক প্রতিনিধি দল তার তিন তালার একটি রুমে সিল করে দেন।তল্লাশি চালানো হয় ওম গুপ্তার বিভিন্ন ঘরগুলিতেও। সেখান থেকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বহু কাগজপত্র উদ্ধার করে বলে তারা জানান। তিন তলা থেকে শুরু করে নিচতলা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সিআইডির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খোঁজখবর নেন কোথায় কি রয়েছে। কিন্তু সিআইডির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শুধুমাত্র কিছু কাগজ পত্র ছাড়া কোন কিছুই তারা পাননি বলে জানা গেছে। স্থানীয় এক জৈনক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে যে সমস্ত জিনিস উদ্ধার হয়েছে তা সিজারলিস্টে সই করনের জন্য নিয়ে যান।শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই মানসিক ভারসাম্যহীন আর দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা 15 মিনিট ধরে তল্লাশি চালানো হয় মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার বাড়িতে।
তবে এদিন ওম গুপ্তার পরিবারের কোন সদস্য না থাকায় পুরো তল্লাশি চালানোর সময় তার এক ভাগ্নি উপস্থিত ছিলেন। এদিন সিআইডির বিশেষ প্রতিনিধি দল যখন ওম গুপ্তার বাড়ি থেকে বের হন তখন বাজারে প্রায় কয়েকশো বাসিন্দা জড় হয়।
সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব থাকা কৃষ্ণকান্ত বেরা নামে এক অফিসার জানিয়েছেন,গাজলের একটি মামলার তদন্ত করতে এখানে আসা হয়েছিল।কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে।বাকি আর যা পেয়েছি ঘটনা তদন্তের স্বার্থে তা বলা সম্ভব নয়।
এদিন গঙ্গারামপুরে বড়বাজার এলাকার ওম গুপ্তার বাড়ির আশপাশে প্রচুর মানুষ জড়ো হলেও সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে সেভাবে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে এটা বলেছেন তদন্ত করতে কারা যেন এসেছে এর থেকে বেশি আর বলতে পারব না।
এদিন সিআইডি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গঙ্গারামপুর থানা থেকে অফিসারও সিভিক কর্মী নিয়ে গিয়ে চারদিক ঘেরাও করে রেখে এমন তল্লাশি অভিযানে নামেন।
তবে এর আগেও ওম গুপ্তার কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যে সমস্ত জিনিসপত্র পেয়েছিলেন তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। যখন মঙ্গলবার রাতে জেলা সিআইডি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওম গুপ্তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফিরে আসেন তখন তাদের হাতে কাগজ ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
গঙ্গারামপুর থানা সুত্র জানা গেছে, একটি মামলার তল্লাশি করতে এসেছিল সিআইডি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
ঘটনায় উৎসুক মানুষজনদের ভিড় ছিল ব্যাপক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here