গবেষণা করতে আমেরিকায় যাচ্ছেন শৌর্য‌্যদীপ পাল

0
102

 

আলিপুরদুয়ার:-

প্রতিদিনই একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছে কয়লা,খনিজ তেল সহ অন্যান্য জ্বালানির ভান্ডার। বিশ্বজুড়েই চলছে বিকল্প জ্বালানির খোঁজ। বিভিন্ন দেশের গবেষকরা এর জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার বিকল্প জ্বালানি নিয়ে গবেষণা করতে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের শৌর্য‌্যদীপ পাল। সেখানকার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় কে বেছে নিয়েছেন শৌর্য‌্যদীপ। ইতিমধ্যেই তার ভিসার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট তিনি মার্কিন মুলকে পাড়ি দেবেন এবং ২৬ শে আগস্ট থেকে তার গবেষণা শুরু হবে। গবেষণা শেষে দেশে ফিরে অধ্যাপনা করতে চান শৌর্য‌্যদীপ। তার সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও।

আলিপুরদুয়ার জেলার এক নম্বর ব্লকের বিবেকানন্দ ২ অঞ্চল অন্তর্গত পশ্চিম জিৎপুর এলাকার বাসিন্দা শৌর্য‌্যদীপ। জিৎপুর বিএফপি স্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়ার পর জিৎপুর হাইস্কুল থেকে 2016 সালে 93% নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিক এবং ২০১৮ সালে 93% নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিএসসি এবং 76 শতাংশ নম্বর পেয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

শৌর্য‌্যদীপ জানান গত বছর ২৩ আগস্ট আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য টোয়েফেল পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তাতে ১২০ এর মধ্যে ১০৩ পান।টোয়েফেল সফল হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছেন শৌর্য‌্যদীপ। কিন্তু জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় কে বেছে নিয়েছেন শৌর্য‌্যদীপ।শৌর্য‌্যদীপ জানান একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই অজৈব রসায়ন ভালো লাগতো।তারপর স্নাতক, স্নাতকোত্তরে আগ্রহ বাড়ে।

বিকল্প শক্তির উৎস খোঁজাই শৌর্য‌্যদীপের লক্ষ্য। তিনি জানালেন পৃথিবীতে কয়লা পেট্রোলের যোগান দিন দিন কমে আসছে। তাই বিকল্প জ্বালানির সন্ধান পাওয়া খুব জরুরী।কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বিজারণের মাধ্যমে মিথানল তৈরি করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হলে খরচও কমবে। বিকল্প আবিষ্কার করতে পারলে গোটা বিশ্বের জন্যও ভালো হবে।শৌর্য‌্যদীপ জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ায় খুশির হাওয়া আলিপুরদুয়ারে।

শৌর্য‌্যদীপ এর বাবা সন্দীপ পাল শ্যামাপ্রসাদ আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান ছোট থেকেই শৌর্য‌্যদীপ পড়াশোনায় ভালো ছিল। সেইসঙ্গে বিজ্ঞানমনস্কও। ছেলের এই সাফল্যে খুবই আনন্দ হচ্ছে। আরো এগিয়ে যাক। ওর গবেষণা দেশের কাজে আসবে এই আশা রাখি। মা ঋতুপর্ণা পাল দেব জিতপুর গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি জানান ছেলের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। এটাই আনন্দের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here