শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর,২০ সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর:-আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজাতে অবর্তমানে দেশজুড়ে চলা করোনা আতঙ্কের মধ্যে মানুষজনকে সচেতন করতে পূজামণ্ডপের থিম উৎসবে আতঙ্ক। সকলের উদ্দেশ্যে ক্লাবের তরফে বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে যে, আতঙ্ক ছড়াবেন না, আতঙ্কিত হবেন না, মাক্স পড়ুন সুস্থ থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরের মধ্যে বিগত দিনে বিগ বাজেটের পূজা গুলির মধ্যে আট নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্র নারায়নপুর কলোনির ইয়ুথ ক্লাবের অভিনব সচেতনতামূলক প্রচার প্যান্ডেল, প্রতিমাসহ আলোকসজ্জা তে থিম নিয়ে আসছে যা দুর্গাপুজোর কাজের সূচনার জন্য খুটি পূজার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করা হল। ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও প্যান্ডেল থেকে প্রতিমাশিল্পীরা জানিয়েছেন, এবছরের ইয়ুথ ক্লাবের দুর্গা পূজা অন্যমাত্রা নেবে বলে আশাবাদী তারা। গঙ্গারামপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ুথ ক্লাবের এক বছরের দূর্গা পূজা 49 তম বর্ষে পা দিয়েছে।
প্রতিবছর এই ক্লাবের বিগত দিনের বিগ বাজেটের দুর্গাপূজা গঙ্গারামপুর জেলা বাসীর কাছে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। কোন বছর কাচের তৈরি প্রতিমা, আবার কোন বছর পরিবেশ রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ নিয়ে পুজো দর্শনার্থীদের কাছে অন্য মাত্রা এনে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে চলছে দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক, তার মধ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন এর পালা। তা সত্ত্বেও এ বছরের মানুষজনদের সচেতনতামূলক প্রচার করার পাশাপাশি দুর্গাপূজাতে মেতে উঠেছেন তারা। রবিবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খুঁটি পূজা করে ওই ক্লাবের সদস্যরা দুর্গাপূজার কাজের সূচনা করেন। পুরোহিতের মন্ত্র সেইসঙ্গে ঢাকের বাজনা তালে কাজের সূচনা করা হয়। সেখানে ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক সাধন শীল, সভাপতি চন্দন সেন, অন্যতম সদস্য তথা কোষাধক্ষ্য আশুতোষ ধর, ক্লাবের সদস্য রবীন্দ্রনাথ দাস, নির্মল চাকি, তরুণ ক্লাব সদস্য কৌশিল সাহা, রাতুল দাস, নির্মল মল্লিক, সুজিত সাহা, অমিত চাকি, সৌমেন্দ্র মজুমদার, বাবু রায় সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবের অন্যতম সদস্য তথা পুজো কমিটির কোষাধক্ষ্য আশুতোষ ধর জানিয়েছেন, এবছরের আমাদের পূজোতে থাকবে মানুষজনদের সচেতনতামূলক প্যান্ডেল থেকে শুরু করে সবেতেই। তাই করোনা আতঙ্কের মধ্যে সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি বিনোদন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরে থেকে কোন চাঁদা তোলা হবে না নিজেরা এবছর পূজা সম্পন্ন করব।
মালদা জেলার পেন্ডেল শিল্পী পীযূষ দাস ও তরুণ ক্লাব সদস্য তথা প্যান্ডেলের কাজে সহযোগী শিল্পী রাতুল কুমার দাসেরা জানিয়েছেন, (উৎসবে আতঙ্ক) এতিমকে দূর্গা পূজার মধ্যে দিয়ে মানুষজনকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। নয়াবাজারের প্রতিমা শিল্পী দীপক সরকার জানিয়েছেন, ডাকের সাজে প্রতিমা তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি সকলের কাছে ভালো লাগবে। এ বছরেও যে এই ক্লাবের দুর্গা পুজো সকলের গ্রহণযোগ্য হবে সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।