চারবছর ধরে বন্ধ অর্থ বরাদ্দ, দক্ষিন দিনাজপুরে ধুকছে এইচ আই ভি পজিটিভদের সংগঠন

0
308

চারবছর ধরে বন্ধ অর্থ বরাদ্দ, দক্ষিন দিনাজপুরে ধুকছে এইচ আই ভি পজিটিভদের সংগঠন, বিশ্ব এইডস দিবসের একদিন আগেও পজিটিভদের পরিসংখ্যান নিয়ে ধন্দে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৯ নভেম্বর— চারবছর ধরে অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় দক্ষিন দিনাজপুরে ধুকছে এইচ আই ভি পজিটিভদের সংগঠন। বিশ্ব এইডস দিবসের একদিন আগেও পজিটিভ দের পরিসংখ্যান নিয়ে ধন্দে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। সঠিক তথ্য না থাকার অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে। উদ্বেগ এইচ আই ভি আক্রান্তদের।
     ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। ঠিক তার আগে সামনে এল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক উদাসীন চিত্র। জেলায় এইডস রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা কত তা নিয়ে ধন্দে খোদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরই। পরিসংখ্যানে মিল না থাকার অভিযোগ তুলেছেন খোদ এইচ আই ভি আক্রান্ত সংগঠনের তরফেই। যা নিয়ে বিশ্ব এইডস দিবসের একদিন আগে রীতিমতো শোরগোল গোটা দক্ষিন দিনাজপুর। স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন উদাসীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ খোদ আক্রান্তদেরই। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রের খবর অনুযায়ী, এইডস আক্রান্তদের বিভিন্ন সুবিধার্থে ২০০৮ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পথ চলা শুরু করে সোসাইটি অফ পিপল লিভিং উইথ এইডস নামক একটি সংগঠন। যারা জেলার এইচ.আই.ভি পজিটিভদের মনোবল চাঙ্গা করতে ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক সংযোগ স্থাপন, তাদেরকে বিভিন্ন  বিষয়ে সচেতন ও চিকিৎসার অধীনে নিয়ে আসবার কাজে উদ্যোগী হয়। চার জন পজিটিভ কর্মী এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জেলায় কাজ শুরু করে ওই সংগঠন।  ওয়েষ্ট বেঙ্গল স্টেট এইডস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সোসাইটি থেকে বাৎসরিক ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে জেলায় কাজ চলত ওই সংগঠনের। যে অর্থ দিয়ে সারাবছর ধরে সংস্থার কর্মীরা এইচ.আই.ভি আক্রান্তদের পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিগত প্রায় চার বছর ধরে ফান্ডের অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় বর্তমানে ধুঁকছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এইচ.আই.ভি আক্রান্তদের সংগঠন। দিশেহারা জেলার অধিকাংশ এইচ.আই.ভি আক্রান্তরা। আর যার জেরে জেলায় এইচ আই ভি দের সঠিক তথ্য নিয়েও ধন্দে পড়েছে খোদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বর্তমানে এইচ.আই.ভি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৫০ জন। যদিও সংগঠনের দাবী ২০১৭ সালে জেলায় এইচ আই ভি পজিটিভের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫০ জন। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৬০০ কেই ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি তাদের। 

সংগঠনের তরফে সোবাহান মন্ডল বলেন, ২০১৭ সালে পজিটিভ দের সংখ্যা ৫৫০ ছিল। এখন তা আরো বেশি হয়েছে। শুধু তাই নয় এইচ.আই.ভি আক্রান্তদের গাইড না করতে পারার কারনে তার সংক্রমণেরও আশঙ্কা আরও বেশি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরকারী অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে পড়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের সংগঠনের কাজ।       যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে-র বক্তব্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি রাজ্যের ব্যাপার। এটা রাজ্য সরকারের পলিসির বিষয়। তিনি বলেন আমদের কাজে সমস্যা হচ্ছে না, আমাদের কাজ যেমন চলার তেমন চলছে। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে একাধিক প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে জেলাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here