কাঠাম পুজোর মধ্যদিয়ে নির্ঘন্ট বালুরঘাটের বোল্লা কালী পুজোর। ১ লা ডিসেম্বর চুড়ান্ত দিন ঠিক করে বোল্লা গ্রামে শুরু হল জোর প্রস্তুতি

0
240

কাঠাম পুজোর মধ্যদিয়ে নির্ঘন্ট বালুরঘাটের বোল্লা কালী পুজোর। ১ লা ডিসেম্বর চুড়ান্ত দিন ঠিক করে বোল্লা গ্রামে শুরু হল জোর প্রস্তুতি।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৭ অক্টোবর ———— কাঠাম পূজার মধ্য দিয়ে নির্ঘণ্ট বাজলো বালুরঘাটের বোল্লা কালী পুজোর। শুক্রবার সকালে প্রাচীন রীতি মেনে পুকুর থেকে কাঠাম তুলে পূজার আয়োজন হয় বোল্লা মন্দির প্রাঙ্গণে। যেখানেই ভিড় জমান হাজার হাজার পুর্নার্থীরা। প্রতিবছরের মতো এবারেও রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার অর্থাৎ ১ লা ডিসেম্বর বোল্লা গ্রামে বসতে চলেছে সেই কালী পূজোকে ঘিরে তিনদিনের বিরাট মেলার আসরও। যেখানেই অংশ নেবে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানরা। ঠিক এই কারনেই উত্তরপূর্ব ভারতে অন্যতম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বৃহত্তম মেলা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছে বালুরঘাটের এই বোল্লাকালীর মেলা। বোল্লা এলাকায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন এই মেলার বিশেষত্ব হলো মেলা প্রাঙ্গনের একদিকে যেমন কালী মন্দির, ঠিক তার উল্টো দিকেই অবস্থিত মুসলিমদের ঈদগা ও কবরস্থান। প্রতি বছরের মতো এবারেও কোজাগরী পূর্ণিমার আগের শুক্লা-চতুর্দশীর দিনেই আয়োজিত হয় দেবীর কাঠাম পূজো। এই দিন থেকেই শুরু হয় বিশালাকার বোল্লা কালীর প্রতিমা গড়বার কাজ। যা দেখতেই পূর্ণার্থীদের ভিড় এদিন যেন আছড়ে পড়েছিল বোল্লা মন্দির প্রাঙ্গনে। যেখানে হাজির হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও এলাকার বিধায়ক বুধরাই টুডুও। যাদের উপস্থিতিতেই বোল্লা কালীর কাঠাম পূজো সম্পন্ন হয়েছে এদিন।

মন্দিরের পুরোহিত গৌতম চক্রবর্তী বলেন, নিয়ম মেনেই এদিন কাঠাম পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন থেকেই দেবী প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয় মন্দিরে। ১লা ডিসেম্বর বোল্লা মায়ের পুজো ও তাকে ঘিরে বসবে বিরাট মেলার আসর। দেবীর মাহাত্ম্যে শুধু রাজ্য বা রাজ্যের বাইরের লোকেরাই নন, প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে বহু লোক ছুটে আসে এই পুজায় অংশ নিতে।

জয়শ্রী রায় ও উষশ্রী ভট্টাচার্যরা বলেন, মায়ের টানে ছোট থেকেই এই পুজোতে ছুটে আসেন তারা। এদিন দেবীর কাঠাম পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেখতেই তারা বালুরঘাট থেকে এসেছিলেন।

বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন এই বোল্লা কালীর পুজো। এদিন কাঠাম পুজোয় অংশ নিয়েছেন তারা। তার সাংসদ তহবিল থেকে ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নির্মিত হচ্ছে বিশালাকৃতির প্রবেশদ্বার। যা দেখে বাইরে থেকে আসা লোকেরা অতি সহজেই চিনতে পারবে এই বোল্লা মন্দির। এদিন দেবীর কাছে পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেছেন অশুভ শক্তির কাছে শুভ শক্তির বিজয় হবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here