ক্লাস রুমে একা পেয়ে কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি শিক্ষকের

0
909

ক্লাস রুমে একা পেয়ে কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি শিক্ষকের, স্তম্ভিত পতিরামের মানুষ। ক্লাস সাসপেন্ড করে অভিযুক্তকে কলেজে ঢুকতে বাধা কতৃপক্ষের 

পিন্টু কুন্ডু,  বালুরঘাট,  ১ ডিসেম্বর  ——- ক্লাস রুমে কলেজ ছাত্রীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পতিরাম  যামিনী মজুমদার কলেজের।  যদিও ঘটনার পরেই অভিযুক্ত শিক্ষকের ক্লাস সাসপেন্ড করে তাকে কলেজে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বসানো হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও। যার রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ  নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। যদিও এ ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিকে ঘটনা জানবার পরেই ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে লাগাতার আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ছাত্র সংসদের তরফে। 

দক্ষিন দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার অন্তর্গত যামিনী মজুমদার কলেজটি। যে কলেজের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক সুবীর কুন্ডুর বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কলেজ সুত্রের খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্র ছাত্রীর কম উপস্থিতি ও ক্লাস রুমে একাকী থাকার সুযোগ নেয় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক বলে অভিযোগ। কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকৃষনপুরের বাসিন্দা ওই কলেজ ছাত্রী এদিন ক্লাসরুমে একাকীই ছিলেন। যে সময় ওই শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসতেই ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই শিক্ষক বলেও অভিযোগ। কলেজের ভিতরে একজন শিক্ষকের এমন কান্ড সামনে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে। যদিও এ ঘটনা নিয়ে কলেজ কতৃপক্ষ এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলেই জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। এদিকে বুধবার ওই অভিযুক্ত শিক্ষক সুবীর কুন্ডু কে কলেজের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি কলেজ কতৃপক্ষ,  করা হয়েছে ক্লাস সাসপেন্ডও। এখানেই শেষ নয়, তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে গোটা কলেজ চত্বর জুড়ে সিসিটিভি লাগানোর তৎপরতাও।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোদ একজন শিক্ষকের এমন আচরনে  স্তম্ভিত এখন পতিরামের সাধারণ মানুষ।
পতিরাম কলেজ ইউনিটের সভাপতি রুবেল মন্ডল বলেন, কোন লিখিত অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি শুনেছেন। উপযুক্ত তদন্ত করে কলেজ কতৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড না করলে নির্যাতিতা ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন তারা।
পতিরাম যামিনী মজুমদার কলেজের অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ওইদিন তিনি কলেজে ছিলেন না। বিষয়টি শুনবার পরেই ক্লাস সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষকের। একইসাথে ঘটনার তদন্তের জন্য বিভাগীয় কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here