গঙ্গারামপুর শহরের বড় তিনটি প্রকল্পের পূর্ণরায় কাজ চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারপার্সন প্রশাস্ত মিত্র

0
385

শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর, ৬জুলাই ,দক্ষিণ দিনাজপুর:-প্রায় বছর খানেক আগে চেয়ারম্যানের সময়ে শহরবাসীর সুবিধায় তিনটি বড় প্রকল্পের কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রকল্পগুলির কাজ একই অবস্থায় রয়েছে।ফের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রশাসক পদে প্রশান্ত মিত্র বসতেই সেই প্রকল্পগুলিকে পুর্ণরায় চালু করার আশ্বাস দিলেন তিনি৷পৌরসভাতে এক একান্ত সাংবাদিকে এমনটাই জানালেন প্রশান্তবাবু।তাঁর এমন উদ্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসীও।১৯৯৩সালে গঙ্গারামপুর পুরসভা গড়ে ওঠে।জন্ম লগ্ন থেকেই বামেদের সালে পুরসভার বিরোধীশুন্য পুরোবোর্ড গঠন করে দখলে থাকলেও ২০১৫ রাজ্যের শাসকদল।চেয়ারম্যান হন তৃণমুলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্ত মিত্র।প্রশান্ত মিত্র চেয়ারম্যানের পদে বসার পরেই শহরের বুকে একাধিক উন্নয়ন মুলক কাজ তিনি১৮টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় করে যাচ্ছেন। যেমন নতুন নতুন রাস্তা তৈরি সংস্কার করা,ড্রেন সংস্কার, আলোবাতি বসানো,ষ্টেডিয়াম জন্য নতুন করে টাকা বরাদ্ধ করে আনা,সুলভ শৌচাগার বানানো,গ্রিনসিটি প্রকল্পে শহরকে সাজানোর ব্যবস্থা করা সহ একাধিক উন্নয়ন মুলক কাজ তিনি করে গেছেন।পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় বছর খানেক আগে পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো পাড়ায় জেলা পরিষদের এক একর জায়গা পৌরসভা নিয়ে নেবার পরেই সেখানে পুরসভার থেকে অত্যাধুনিক মানের সুইমিংপুল তৈরি করার উদ্যাগ নিয়েছে। সুইমিংপুলের আশপাশে যদি আরো জায়গা থাকে তাহলে বিনোদনের জন্য অন্য কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার বলে জানানো হয়েছে।গঙ্গারামপুর পুরসভার উন্নয়নের কান্ডারি চেয়ারপার্সন প্রশান্ত মিত্র উদ্যাগে সরকারের তরফে লাইবেরি তৈরি করা হচ্ছে ডাকবাংলো পাড়ায়। সেখানেই সুইমিংপুলও হবে।শহরের মানুষজন যেন সেখানে সাঁতার কাটতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা মুলক অনুষ্টানের আয়োজন করা যায় তাঁর উদ্যাগ নেওয়া হবে। যদি পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে, শেষ করতে বছর দেড়ক সময় লাগবে তখন জানানো হয়েছিল।পুরসভার তরফে ৭নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো পাড়াতে সুইমিংপুল তৈরি করার জন্য সমস্ত দিক ক্ষতিয়েও দেখেছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান সহ পুরসভার একাধিক নেতৃত্বরা।সমস্ত বিষয় ক্ষতিয়ে দেখার পর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ছিদাম বসাকও জানিয়েছিলেন, চেয়ারম্যান সাহেব সমস্ত দিক ক্ষতিয়ে দেখলেন।এখানে এই প্রকল্পের পরিকাঠামো আছে সেটা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। সেই কাজ বর্তমান সময়েও হয়নি বলে যানা গিয়েছে। 

 এর পাশাপাশি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নারায়নপুরে একটি কাঠের সাকো ছিল।ততকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র একটি অনুষ্টানে গিয়ে পাকা সেতু তৈরির করার কথা ওয়ার্ডের সকলের সমানে ঘোষনা করেছিলেন।কিন্তু সেখানেও কাজ হয়নি বলে যানা গিয়েছে। সেখানে পাকা সেতু তৈরি হলে ওয়ার্ডের বহু মানুষজন উপকৃত হবে বলে যানা গিয়েছে।   শহরের মধ্যে বিকল্প রাস্তা হিসেবে বড় বাজার এলাকায় একটি বিকল্প ব্রিজ তৈরি করার জন্য । উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে সেই রকমের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।এই তিনটি প্রকল্পের বিষয়টি ইতিমধ্যেই বছর খানেক বন্ধ থাকার পরে ফের নদী দিয়ে অনেকজল বের হবার পরে ফের পৌরসভার প্রশাসক পদে বসেছেন শহরের উন্নয়নের কান্ডারি প্রশান্ত মিত্র৷  এদিন প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন আমি যে তিনটি প্রকল্পের কথা দিয়েছিলেন, তা বন্ধ রয়েছে। আমি এবার প্রকল্পগুলি চালু করব।চেয়ারপার্সন প্রশান্ত মিত্রের এমন উদ্যাগকে ত সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসীও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here