ফের মানবিক মুখ গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের-মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হল।

0
481

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর, ২৬ মে, দক্ষিণ দিনাজপুর-ফের পুলিশের মানবিক মুখ। আবার এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাটি তার আত্মীয় স্বজনদের হাতে তুলে দেয় থানার মহিলা পুলিশ কর্মীকে দিয়ে। থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এটাও আমাদের সামাজিক কাজের মধ্যে পড়ে। তাই তুমি এমন কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সময়ে, যা আগামী দিনেও করে যাব সকলের সহযোগিতা নিয়ে। পুলিশের মাধ্যমে হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের এমন কাজে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলার বাবা থেকে তার দাদা সহ গঙ্গারামপুর বাসিও।                  

   গঙ্গারামপুর থানার জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা প্রেমচন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়(৩৫) মানসিক ভারসাম্যহীন অনেকদিন আগে থেকেই হয়েছেন। পরিবারের তরফে তাকে বিয়েও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই অপর্ণা দেবী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। পরিবারের লোকজনদের দর্পে এদিক ওদিকে গেলেও তাকে মাঝেমধ্যেই খুঁজে বের করে আনত বলে খবর।                      

  গঙ্গারামপুর থানা সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে অপর্ণা রায় দাস নামে ওই মহিলাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে তার পরিবারের লোকজনদের তরফে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পাওয়া মাত্রই গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু তাকে খুঁজে বের করার জন্য দায়িত্ব দেন মহিলা পুলিশ কর্মী এসআই আজিজা খাতুনকে। তিনি আইসির নির্দেশ পাওয়ার পরেই এস আই আজিজা খাতুন হই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গঙ্গারামপুর থানা এলাকার মধ্যে থেকে রাতে খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানার তরফ এ খবর দেওয়া হয় নিখোঁজ ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার কেশবপুরের পরিবারের লোকজনদের বাড়িতে।         

        মঙ্গলবার রাতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার বাবা প্রেম চন্দ্র রায়, ও তার ভাই শক্তি রায়ের হাতে এসআই আজিজা খাতুন আইসির নির্দেশে তাকে তাদের হাতে তুলে দেন থানাতে।    

   গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণ কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, এটাও আমাদের সামাজিক কাজের মধ্যে পড়ে। তাই তিনি এমন কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন সময়ে যা আগামী দিনেও করে যাব সকলের সহযোগিতা নিয়ে।     

        পুলিশের মাধ্যমে হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের এমন কাজে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলার বাবা প্রেম চন্দ্র রায় ও দাদা শক্তি রায়।               

  ফের গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের এমন কাজে গঙ্গারামপুরবাসিও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here