৫০০ মাছ চাষির পরিবারকে সম্পুর্ন রোজগারহীন করে তৃণমূলের পতকা লাগিয়ে নদীর দখল নিল তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা।

0
606

মালদা;;১৫সেপ্টেম্বর: ৫০০ মাছ চাষির পরিবারকে সম্পুর্ন রোজগারহীন করে তৃণমূলের পতকা লাগিয়ে নদীর দখল নিল তৃণমূলের নেতা- কর্মীরা। মাছ চাষিরাই বঞ্চিত মাছ চাষ থেকে। অথচ মাছ চাষিদের ওই নদীতে মাছ চাষ করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন।এমনকি গোলমাল হওয়ায় সেখানে ১৪৪ ধারাও রয়েছে। চাষিরা একে একে সেখানে মাছ ধরেন। কিন্তু লাঠি, বল্লম নিয়ে হাজির হয়ে নদীর ধার দিয়ে বাঁধ বরাবর তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে সেখানে মাছ ধরা শুরু করেছে তৃণমূলের একদল কর্মী সমর্থক। পরোয়া নেই সরকারি নির্দেশের।পরোয়া নেই ১৪৪ ধারার। দিব্যি নদী দখল করে মাছ চাষ করে ব্যবসা শুরু করেছে। নদীর ধারে কাছে যেতে পারছে না এলাকার ৫০০ মাছ চাষি। তাঁদের রোজগার সম্পুর্ন বন্ধ।

প্রায় না খেয়েই কাটছে দিন। গত একমাস ধরে এভাবেই চলছে। বিডিও বা থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয় নি। কেউ দেখতেও আসে নি তাঁদের। বুধবার এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক মৎস্যজীবী। ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ ব্লকের ভালুকা বাজার এলাকায়। ফুলহার নদীর একটা অংশ বাঁধের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এই এলাকার ৫০০ মাছ চাষি এই নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালান। বাঁধ লাগোয়া নদীর এই অংশ একরকম ভেরির মত হয়ে থাকে প্রচুর মাছ থাকে। আর তা নিয়েই এই অংশ দখল করে মাছ চাষের উদ্যোগ নেয় বহু প্রভাবশালীরা। বহুবার এই নিয়ে গোলমাল,সংঘর্ষ হয়েছে।

বিষয়টি রাজ্যপাল পর্যন্ত যায়। এরপর বহু বছর আগে এলাকার ৫০০ মাছ চাষির পরিবারকে ওই এলাকায় মাছ চাষ করার অধিকার দিয়ে চিঠি দেয় এসডিও। অনুমতি দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি ওই এলাকায় একে একে সুশৃঙ্খল ভাবে মাছ ধরার জন্যে ১৪৪ ধারা করে দেওয়া হয়। যাতে ভিড় করে গোলমাল বাঁধাতে কেউ না পারে। কিন্তু এখন এসবের কোনও পরোয়া না করে, এলাকার দখল নিয়েছে তৃণমূল। মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত মাছ চাষিরাই।

যারা দখল নিয়েছে তাঁরা আমাদের ক্যামেরার সামনেও দাপটের সঙ্গে বলেছে তাঁরা তৃণমূল করে। তাই পতাকা লাগিয়ে ঘিরে নিয়ে দখল নিয়েছে নদীর। আর এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এসব আসলে গৃহযুদ্ধের সূচনা, অভিযোগ বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলের। অন্যদিকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ তৃণমূল ব্লক সভাপতি হজরত আলী। তবে তাঁর কথায়, একদল মানুষ তৃণমূল পরিচয় দিয়ে দলের বদনাম করছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here