মালদা:-সভাধিপতি নির্বাচন না হওযায় অচলাবস্থা অব্যাহত মালদা জেলা পরিষদে। থমকে রয়েছে জেলার উন্নয়ন দাবি জেলা পরিষদ সদস্যদের একাংশের। একই অভিযোগ জেলার বাসিন্দাদেরও। নির্বাচন হলে মুখ পুড়বে তৃণমূলের তাই ভয় পাচ্ছে শাসকদল কটাক্ষ বিজেপির। তৃণমূল চাইলে একজন জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপিতে থাকবেন না পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস 29 টি আসন, বিজেপি ছটি এবং কংগ্রেস দুটি আসন দখল করে। একজন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 30। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মালদা জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভাধিপতি নির্বাচিত হন গৌড় চন্দ্র মন্ডল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা পরিষদের 11 জন সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি। যার ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় 18 তে। নির্বাচন পর্ব চলাকালীন বেশ কয়েকজন বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসেন। এমনকি বিজেপির দুজন সদস্য তৃণমূলের নাম লেখান।নির্বাচন পর্ব শেষ হতেই গৌড় চন্দ্র মন্ডল এর বিরুদ্ধে অনাস্থা রাখেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা। এরপরই সভাধিপতি পর থেকে জুলাই মাসে ইস্তফা দেন গৌড় চন্দ্র মন্ডল। তারপর থেকেই ফাঁকা রয়েছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ। তিন মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও সভাধিপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়নি।
মালদা জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন মিশ্র বলেন, ফিফটিন ফিন্যান্স এর 11 কোটি টাকা এসেছে। প্রপসাল তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু সভাধিপতি না থাকার জন্য কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
মালদার এক বাসিন্দা অজয় বসু বলেন, গ্রাম বাংলার উন্নয়ন পুরোটাই নির্ভর করে জেলা পরিষদের উপর। সভাধিপতি না থাকায় জেলা পরিষদের উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে। তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও সভাধিপতি নির্বাচন হয়নি। আর তাই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি।
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, হিট পড়ার ভয়ে সভাধিপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হচ্ছে না। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে সভাধিপতি নির্বাচন হলে বিজেপি জয়লাভ করবে। যার প্রভাব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে। তাই ভয় পেয়ে নির্বাচন করাতে ভয় পাচ্ছে শাসক দল। তৃণমূলের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর। তিনি বলেন তৃনমুল চাইলে জেলা পরিষদের বিজেপির একজন সদস্য থাকবেন না। তৃণমূল সূত্রের খবর এই মুহুর্তে জেলা পরিষদের 28 জন সদস্য তাদের সাথে রয়েছে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আশাবাদী বিজেপি ও।