শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৩০ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:- নকল পিস্তল দেখিয়ে চোখে মুখে স্পে করে ব্যবসায়িক টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার হাইরোড পেট্রোল পাম্পের পাশে। যদিও ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতে ছিনতাই করতে ব্যর্থ হন অভিযুক্তরা। প্রায় একমাস পরে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে গঙ্গারামপুর থানার টাউন বাবু ও তদন্তকারী অফিসার মিলে মহারাজপুর থেকে অভিযুক্ত যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার ধৃতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজত চেয়ে মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে।

গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম কৃষ্ণ হালদার (২৮)। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের (৩)২ বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুরে।

গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকান রয়েছে ১২নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাসিন্দা সমীর রায়। গঙ্গারামপুর হাইরোড চৌপথিতে এলাকাতে মুদির পাইকারি দোকান রয়েছে তার দুই ভাইয়ের। গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর রায়। সেই সময় হাইরোড় সংলগ্ন পেট্রল পাম্প এক যুবক সমীর রায়ের চোখে মুখে কেমিক্যাল স্প্রে করে। অভিযোগ সমীর বাবুর হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেবার ঘটনায় সমীর বাবু ব্যাগ সহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করেন। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর এমন ঘটনা ঘটতে স্থানীয় লোকজন ও পথচারিরা ছুটে এসে শুভজিৎ সরকার নামে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে ধৃতের কাছ থেকে একটি স্প্রে মেশিন,একটি ছুড়ি,খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে । ২৮ জুন ধৃত শুভজিৎ সরকারকে হেফাজতে নিয়ে একটি গ্যাংকের হদিশ পায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।শুক্রবার রাতে এসআই বিশ্বজিৎ বর্মন ও এসআই সমীর কর্মকার অভিযান চালিয়ে প্রায় এক মাসের মাথায় কৃষ্ণ হালদার নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এদিন সাতদিনের পুলিশী হেফাজতে চেয়ে ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আইসি জানিয়েছেন,ঘটনায় আরো কারা জড়িত আছে তাদেরকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে।ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে শনিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।