করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের অজানা জ্বরে মৃত্যুর মত ঘটনা।

0
923

শিলিগুড়ি:-করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের অজানা জ্বরে মৃত্যুর মত ঘটনা।গত ২৪ ঘন্টায় ফের অ্যাকিউট রেসপেরেটারি ইনফেক্সন (এআরআই) বা জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্ট জনিত ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হলো এক শিশুর।গত দশ দিনে এই নিয়ে এই অজানা ভাইরাস ঘটিত জ্বর,সর্দি, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে মৃত্যু হয়েছে আট জন শিশুর।স্বভাবতই চিন্তার ভাজ ফেলেছে স্বাস্থ দপ্তরের কপালে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে,বুধবার নতুন করে মৃত শিশু শিলিগুড়ি ভক্তিনগরের বাসিন্দা,বয়স এক মাস তিন দিনের ছেলে শিশু।গত দু’দিন আগে জ্বর,সর্দি,শ্বাসকষ্ট বা এআরআই জনিত ভাইরাস ঘটিত রোগ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয় শিশুটি।এদিন সকালে তার মৃত্যু হয়।মেডিক্যাল কলেজ সুত্রে আরও জানা গেছে গত ২৪ঘন্টায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে নতুন করে ৪৩জন শিশু ভর্তি হয়েছে।তাদের মধ্যে জ্বর,সর্দি,শ্বাসকষ্ট উপসর্গ বা এআরআই নিয়ে ১৩জন শিশু ভর্তি হয়েছে।এছাড়াও অন্যান্য রোগে মোট সাত জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সেইসঙ্গে গত দশ দিনে ৮জন শিশু এআরআই-আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।এই মুহুর্তে জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের উপসর্গ নিয়ে ২৫০জনের ওপর শিশু ভর্তি রয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ সুত্রে জানা গিয়েছে।এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন,“নানান উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে সাতটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।গত ২৪ঘন্টায় সিভিআর রেসপরেটারি নিউমেনিয়া বা মরসুমি জ্বর,সর্দি,কাশি,শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।বাকি শিশু মৃত্যুতে এই মরসসুমের জ্বর সর্দি কাশি শ্বাসকষ্টের কোন সম্পর্ক নেই।মরসুমের শুরুর দিকে কিছু বাচ্চার ডেঙ্গু স্ক্রাপ টাইফাস হয়েছিল।

রেসপেরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস সাসপেক্ট করা হচ্ছে।সেগুলির জন্য কিছু সাম্পেল টেষ্টেও পাঠানো হয়েছে।কোভিডে মৃত্যু নেই।কোভিড নিয়ে আট জন শিশু ভর্তি হয়েছিল।ছয়জন ছাড়া পেয়েছে।দু’জন এখন স্বাভাবিক।দূর্গাপুজোর আগে পরে একটা সিজিন্যাল ভাইরাল ইনফেকশন বা ডিজিজ হই।এইরসময় সতর্ক থাকতে হবে।ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাকরণ চালাতে হবে।বাচ্চার বাবা মা কে সতর্ক থাকতে হবে।আমরা চেষ্টা করছি পরিশেবা ভালো মত দেবার ব্যাপারে।আমরাও সতর্ক রয়েছি।অনেক বাচ্চা আরও খারাপ অবস্থায় এসেছিল,তাদেরকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি।কিন্তু কতগুলি ক্ষেত্রে আমরা বাঁচাতে পারি নি।কিন্তু চেষ্টার কোন খামতি রাখি নি আমরা”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here