মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ স্কুল ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে রনক্ষেত্র কুশমন্ডি

0
46

মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ স্কুল ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে রনক্ষেত্র কুশমন্ডি। বেধড়ক পেটানো হলো স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়লো স্কুলের লাইব্রেরী, আগুনে জ্বলল মোটরবাইক

বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর ——– ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র কুশমন্ডিতে। জনতার রোষানলে পুড়ল স্কুলের লাইব্রেরী, জ্ব্বলল মোটর বাইকও। বেধড়ক পেটানো হল স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও। ঘটনাকে ঘিরে অবরুদ্ধ রাজ্য সড়ক। বুধবার এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের কচড়া হাই স্কুলে। স্কুল সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন কচড়া হাই স্কুলে মিড ডে মিল চলবার সময় খাবার নেবার লাইনে দাঁড়িয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অভিজিৎ সরকার(১২)। এরপর স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা অসুস্থ ঐ ছাত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিসে নিয়ে যায় এবং সেই ছাত্রটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা বলে অভিযোগ। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি কে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে অসুস্থ ওই ছাত্রের অভিভাবককে স্কুলে ডেকে পাঠায়। এর মাঝেই কিছু সময় পেরিয়ে যায়। এরপর অসুস্থ ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলে পৌছে অভিজিৎ সরকার-কে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথেই মৃত্যু হয় অসুস্থ ওই ছাত্রের। আর এতেই উত্তেজিত হয়ে উঠে স্থানীয় বাসিন্দারা ও স্কুলের অনান্য ছাত্ররা। স্কুলের গেট ভেঙ্গে উত্তেজিত জনতা স্কুলে ভেতরে প্রবেশ করে অবাধে ভাঙচুর চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এরপর স্কুলের লাইব্রেরীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলের জানালা, দরজা, ফ্যান ভেঙ্গে উত্তেজিত জনতা রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য-র নেতৃত্বে কুশমন্ডি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌছায়। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রানা বসাক-এর বক্তব্য ঘটনায় তার ল্যাপটপ ও সোনার চেন খোয়া গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনা ও স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন।

স্কুল ছাত্র নিত্য বসাক ও শুভঙ্কর সরকাররা বলেন, অসুস্থ ছাত্রটিকে সময় মত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বেঁচে যেত। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণের প্রতিবাদেই ছাত্ররা সরব হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here