শিলিগুড়ি:-
কথায় আছে পুলিশ চাইলে কি না পারে!আর ঠিক তেমনটাই করে দেখালো শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের শিলিগুড়ি থানা।শিলিগুড়ির হাকিম পাড়ার একটি বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছিল সোনার অলংকার সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সামগ্রী।সেই ঘটনার তদন্ত নেমে এক দুষ্কৃতি সহ সোনার দোকানের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি থানার এন্টি ক্রাইম উইঙ্গের পুলিশ।ধৃত ওই দুষ্কৃতির নাম পলাশ মন্ডল।ধৃত সোনার দোকানের কর্মচারীর নাম সঞ্জীব সূত্রধর।শিলিগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,চলতি মাসের ৩ তারিখ হাকিম পাড়ার একটি বাড়িতে চুরি হয়।ওই বাড়িতে দুইজন মহিলা থাকতেন। ওই মহিলারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন,জানলার পাশে থাকা তিনটি লেডিস ব্যাগ রাতের অন্ধকারে উধাও হয়ে গিয়েছে।ও লেডিস ব্যাগগুলোর মধ্যে সবমিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার টাকা,সোনার বাঁধানো শাখা,আধার কার্ড,প্যান কার্ড আর ও স্বর্ণ অলংকার ছিল।চার তারিখে এই বিষয়ে শিলিগুড়ি থানা অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্ত নামে শিলিগুড়ি থানার এন্টি ক্রাইম উইঙ্গের পুলিশ।তদন্ত নেমে পুলিশ বুঝতে পারে, হূক দিয়ে ওই ব্যাগগুলো টেনে চুরি করা হয়েছিল।এর পরে পুলিশ গোপন সূত্র গুলিকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায়।এরপর গোপন সূত্র মারফত তথ্য সংগ্রহ করে ডাবগ্রাম এলাকা থেকে শিলিগুড়ি থানার এন্টি ক্রাইম উইঙ্গের পুলিশ পলাশ মন্ডলকে গ্রেফতার করে।গত সাত তারিখ রাতে পলাশকে গ্রেফতার করার পর ৮ তারিখ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে পুলিশ পলাশকে তদন্তের জন্য হেফাজতে নেয়।শিলিগুড়ি থানার পুলিশ এরপর পলাশ কে জিজ্ঞাসাবাদ করে,পলাশের ডাবগ্রামের বাড়ি থেকেই চুরি করা ওই লেডিস ব্যাগসহ ৩১০০ টাকা,প্যান কার্ড ও আধার কার্ড উদ্ধার করে।ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জানতে পারে,বাকি প্রায় সাত গ্রাম সোনা সে এক সোনার দোকানের কর্মচারীকে বিক্রি করে দিয়েছে।এরপর মঙ্গলবার রাতে ক্ষুদিরামপল্লীর ওই সোনার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ।সেখান থেকে গলানো ওই সাত গ্রাম সোনা সহ সঞ্জীব সূত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃত সঞ্জীবকে আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।