আইনের রক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি বালুরঘাটে। পুলিশের দ্বারস্থ সি ডাব্লুসির চেয়ারম্যান
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩১ মে——- আইনের রক্ষককেই এবারে প্রাণনাশের হুমকি! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের। ঘটনা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান মন্দিরা রায়। তার অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পকসো মামলায় অভিযুক্ত এক যুবক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর যার অত্যাচারেই কার্যত নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির। যা নিয়েই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে বালুরঘাট থানার দারস্ত হয়েছেন সিডব্লুসির চেয়ারম্যান মন্দিরা রায়। যে অভিযোগ পাবার পরেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট জেলা আদলেতে পাঠিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা যায়, ২০২৩ সালে বংশীহারী এলাকার বাসিন্দা তথা ওই অভিযুক্ত যুবক ধ্রুব সরকারের বিরুদ্ধে একটি পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। যে ঘটনায় একটি নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে নিজেদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিশু সুরক্ষা কমিটি। তারপরেই পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ও তার বিরুদ্ধে মামলাও চালু হয়। যদিও পরে জামিনে ছাড়া পান ওই অভিযুক্ত যুবক ধ্রুব সরকার। আর এরপর থেকেই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সকল সদস্যদের ফোন নম্বর যোগার করতে থাকেন ওই অভিযুক্ত। গত দু মাস ধরে তিনি ওই কমিটির মোট ছয় জন সদস্যকে ফোন করে অনবরত হুমকি দিয়ে চলেছেন।কমিটির সদস্যরা প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ওই ফোন নম্বরটি ব্লক করে দিলে, একাধিক নম্বর থেকে তিনি ফোন ও মেসেজ চালু করেন। এরপরেই একাধিক নম্বর থেকে খুনের হুমকি দিতে শুরু করেন ওই অভিযুক্ত বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কমিটির সদস্যদের খোঁজখবর নিয়ে রীতিমত্ত ‘ তাদের ফলো’ করতে শুরু করেন ওই যুবক বলেও অভিযোগ। একইসাথে শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের মেসেজ করে ওই নাবালিকাকে মুক্তি করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। আর এরপরেই সিডব্লিউসি চেয়ারম্যানকে ফোন করে অসম্মানজনক কথা বলবার পাশাপাশি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ওই অভিযুক্ত। আর যা নিয়েই কার্যত আতঙ্কিত বোধ করে চেয়ারম্যান মন্দিরা রায় বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বালুরঘাট থানা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই বংশীহারী থেকে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মন্দিরা রায় জানান, ‘ফোন করে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল। তারপরে ঠিকানা নিয়ে বাড়ি পৌঁছে যায় ওই অভিযুক্ত। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলাম। পকসো কেসের আসামি কতটা নৃশংস হতে পারে আমরা জানি। তাই ঝুঁকি না নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।’