জলপাইগুড়ি:-
বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় জলপাইগুড়ি আসনে ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরই ভোটদাতাদের মতদান বন্দী ইভিএমগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর করা নিরাপত্তায় সাতটি বিধানসভা থেকে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, ময়নাগুড়ি এবং ধুপগুড়ি এই পাচটি বিধানসভার ইভিএমগুলি আসে ডিসিআরসি কেন্দ্রে। মালবাজার এবং মেখলিগঞ্জ বিধানসভার ইভিএমগুলি শনিবার সকালে এসে পৌছায়। আজ সকালে সেই ইভিএমগুলিকে নিয়মমাফিক সিলিং করা হয়। সেইসময় জেলা নির্বাচনী আধিকারিক শামা পারভিন এর পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়, সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ এবং তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট চন্দন ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে সিলিং এর পর বিধানসভা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঘরে ঢোকানো হয় ইভিএমগুলিকে এবং সেই ঘরগুলি সিল করে দেওয়া হয় ৷ জেলা নির্বাচনী আধিকারিক শামা পারভিন জানিয়েছেন, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে স্ট্রং রুমে। দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। স্ট্রং রুম নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ট্রং রুমের ৫০মিটার বাইরে থাকছে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশও। যথাযথ পরিচয়পত্র ছাড়া সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ স্ট্রংরুম চত্বরে। মনিটারিং এর জন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলের বসার আলাদা জায়গা করা হয়েছে সেখানে। এদিন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে তারা সন্তস্ট। আগামী ৪ঠা জুন গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। ততদিন পর্যন্ত এই স্ট্রং রুমে বন্দি থাকবে প্রার্থীদের ভাগ্য।