স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন প্রেমিকা৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল ২ ব্লকের মালতিপুরের চিল্লাপাড়া এলাকায়৷

0
690

চাঁচল, ৮ জুন : স্ত্রীর মর্যাদা পেতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন প্রেমিকা৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল ২ ব্লকের মালতিপুরের চিল্লাপাড়া এলাকায়৷ গতকাল রাত থেকেই চলছে প্রেমিকার ধর্ণা৷ যদিও ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে উধাও প্রেমিক৷ যুবতির সাফ কথা, প্রেমিককে বিয়ে করেই তিনি ধর্ণা থেকে উঠবেন৷ তা না হলে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে গলায় দড়ি দেবেন৷ গোটা ঘটনাটি দুই থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি৷
প্রেমিকার নাম শেলি খাতুন৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর গ্রামে৷ স্থানীয় দৌলতপুর হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি৷ প্রেমিক নাসিম আখতার পেশায় দর্জি৷ চেন্নাইয়ে কাজ করেন৷ বর্তমানে চিল্লাপাড়ায় গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন৷ শেলি জানান, এক বছর আগে এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে৷ তারই সূত্র ধরে নাসিমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়৷ ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে৷ দু’জনের মধ্যে প্রেম হয়৷ প্রেমের টানে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন৷ তার সঙ্গে রাতও কাটিয়েছেন৷ দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে৷ কিন্তু প্রেমিকের বাবা-মা তাঁর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি নন৷ প্রেমিক তাঁকে জানায়, সে তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যাবে৷ গত রবিবার সে তাঁকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে৷ কিন্তু তার মা তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন৷ সোমবার রাতটা তিনি প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় কাটিয়েছেন৷ এদিকে প্রেমিককে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তার মা আর মামা৷ ফোন করলেও প্রেমিক ফোন ধরছে না৷ তাই তিনি প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে ধর্ণায় বসেছেন৷ যতক্ষণ না তাঁর বিয়ে হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি ধর্ণা থেকে উঠবেন না৷ আর যদি তাঁর সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে না দেওয়া হয়, তবে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁসি দেবেন৷
এদিকে প্রেমিকের মা নার্গিস বিবি বলেন, ‘আমার ছেলেকে এই মেয়ে আর তার পরিবারের লোকজন অন্য কোথাও সরিয়ে রেখেছে৷ ছেলে অসুস্থ ছিল৷ চাঁচলে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল৷ ওর মামা ওকে আনতে গিয়েছিল৷ আমার ভাই ছেলেকে আনতেও গিয়েছিল৷ কিন্তু এই মেয়ের পরিবারের লোকজন ছেলেকে কোথাও সরিয়ে দিয়েছে৷ আমি ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না৷ এই মেয়ে সব মিথ্যে কথা বলছে৷ মেয়েটা যদি আমার ছেলের হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসে, তবে আমি এর সঙ্গেই তার বিয়ে দেব৷’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here