গৌতম পাল, উত্তর দিনাজপুর:—-এই প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে ভার্চুয়াল উদ্বোধন হল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুরের দূর্গোৎসবের। খুশী পুজো উদ্যোক্তারা জোর কদমে নেমে পড়েছেন সেরা পুজো উপহার দিতে। করোনা আবহে সাধারন মানুষের কাছে চাঁদা তোলা দুষ্কর হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার টাকা পুজোর খরচের জন্য দেওয়ায় প্রবল উৎসাহে পুজো মন্ডপ ও প্রতিমা নির্মানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুজো কমিটিগুলও রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট করা বিধিনিষেধ পালন করার পাশাপাশি নিজেরাও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক বিতরণ ও স্যানিটাইজিং করার উদ্যোগ নিয়েছে। সামজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য নামানো হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও।
মাঝে আর চারটে দিন, এরপরই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজো। মন্ডপে মন্ডপে চুড়ান্ত প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই ১৪ অক্টোবর বিকেল ৪ টার সময় রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার সাতটি দূর্গাপূজোর উদ্বোধন করে দিয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের অমর-সুব্রত স্পোর্টিং ক্লাব, সুদর্শনপুর সার্বজনীন, রবীন্দ্র ইন্সটিটিউট সহ ইসলামপুর ও কালিয়াগঞ্জের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেই রাজ্যের সবকটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ব্যাবসায়ী বা সাধারন মানুষের কাছ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে চাঁদা তোলা যে দুষ্কর হয়ে উঠেছিল তা অনেকটাই লাঘব করেছে পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের। এবছর অতিমারি করোনার কারনে সব বিগ বাজেটের পুজোই তাদের বাজেট কাটছাঁট করেছে। ২০ লাখের পুজো এবারে নেমে এসেছে ৫ লাখে। তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুদান পেয়ে তারা যে ভীষনভাবে উপকৃত এটা বলাই যায়। পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অনুদান না পেলে এবার পুজো করাই অসম্ভব হয়ে পড়ত। আমরা রাজ্য সরকারের সমস্তরকম নিয়ম ও বিধিনিষেধ মেনে দূর্গোৎসবের আয়োজন করছি। দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে।