গঙ্গারামপুর শহরের জল ড্রেনের মাধ্যমে পূর্নভবা নদীতে, ক্ষোভ প্রকাশ পরিবেশ প্রেমীর-আগে থেকেই হয়ে আসছে জানালেন চেয়ারম্যান ও বিধায়ক।

0
676

                  শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর, ১৯ই সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর:-শহরের নোংরা জল  ড্রেনের মাধ্যমে পূর্নভবা নদী দিয়ে প্রবেশ করানোর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বানঘর সংলগ্ন এলাকায়। শহরবাসীর দাবি ড্রেন হয়েছে আমাদের ভালো হয়েছে, কিন্তু  নদীতে শহরের যেন নোংরা আবর্জনা ও নোংরা জল না যায় সেই বিষয়টি দেখার আবেদন করছি। দীর্ঘদিনের পৌরসভা হওয়ার পরেও ট্রিটমেন্ট প্লান শহরের বুকে তৈরি না হওয়ায় বিরোধীরাও সুর চড়াতে ছাড়েননি শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও পৌরসভা তৈরি হবার পর থেকেই এমনভাবেই শহরের জল বের করার কোন উপায় না থাকায় দূষণ রোধ করে তা নদীতে ফেলা হয়েছে বলে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি দাবি করেছেন।            

  গঙ্গারামপুর পৌরসভাটি ১৯৯৩ সালে গড়ে ওঠে। সেই সময় কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে এই পৌরসভাটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে ১৮ টি ওয়ার্ড নিয়ে এই পৌরসভা চলছে। জন্ম লগ্ন থেকেই তা বামেদের দখলে থাকলেও ২০১৫ সালের পৌরভোটে শাসক দল বিরোধী-শূন্য পৌরসভা দখল করে। বর্তমানের এই পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা রয়েছে ৮০ হাজারের মত।                        

  পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের জল নিকাশির জন্য পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকেই কোন মাস্টার প্ল্যান তৈরি না করেই ড্রেনের মাধ্যমে পূর্নভবা নদীতে জল বের করা হয়ে থাকত। ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গাতে শহরের মধ্যে বামেদের সময়ে যেমন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হয়নি তেমনি শাসকদলের সময়ও একই অবস্থা রয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন জায়গাতে ড্রেন তৈরীর কাজ শুরু করেছেন পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান।সেখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাশাপাশি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হালদারপাড়া বাণগড় এলাকায় ড্রেনের জল পূর্নভবা নদীতে ফেলার ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশপ্রেমী।                           পরিবেশ প্রেমী জানিয়েছেন, অবশ্যই উন্নয়নটাও দরকার। তবে নদীদূষণ যদি হয় তাহলে খারাপ। পরিকল্পনা করে উন্নয়নমূলক কাজ করুক সেটা আমাদের সংগঠন চাই। না হলে আন্দোলন হবে।                                  

শহরের তিন এলাকাবাসী পলাশ সরকার, বলরাম হালদার ও মানিক হালদার এটা জানিয়েছেন, আমরাও উন্নয়নটা চাই, তবে যেন নদী দূষণ না হয় তার দিকে কর্তৃপক্ষকে দেখার আবেদন জানাই।                        সিপিএমের গঙ্গারামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক অচিন্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। তবে ট্রিটমেন্ট প্লান শহরের বুকে তৈরি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা পৌরসভাকে দেখা উচিত যেন নদী দূষণ না হয়।            

পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার ও বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, পৌরসভা তৈরি হওয়ার পর থেকেই এমন ভাবেই শহরের জল বের করা হতো। কোন উপায় না থাকায় দূষণ রোধ করে তা নদীতে ফেলা হয়েছে আমাদের সময়ে। নদী দূষণ হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।       

   এখন দেখার এই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here