মালদা:-100 দিনের প্রকল্পের শ্রমিক পেমেন্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মালদার চাঁচলেরখরবা গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মংলু সেখ।
ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পারবিনা খাতুন, উপপ্রধান সইমুদ্দিন আহমেদ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম। বিডিও এবং এসডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার অভিযোগ নিজের আত্মীয়-স্বজন এমনকি সরকারি কর্মচারীদের নামে 100 দিনের কাজের বই তৈরি করে ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে পঞ্চায়েত।

ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আনারুল হক বলেন, সরকার আমাদের গরিব মানুষদের জন্য 100 দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছে। সেই টাকা পেয়ে আমরা সংসার চালায়। কিন্তু এই পঞ্চায়েত কোন কাজ না দিয়েই আমাদের নামে টাকা তুলে নিচ্ছে। আমরা টাকা পাচ্ছিনা। ওদের বড় বড় বাড়ি হচ্ছে আর আমরা না খেয়ে থাকছি।
যদিও পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান পারবিনা খাতুনের স্বামী মংলু শেখ। তিনি বলেন এগুলো মিথ্যে অভিযোগ। ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও ঘটনার তদন্ত করুক।
আর এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, যেখানেই তৃণমূল সেখানেই দুর্নীতি। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজের টাকা তছরুপ করেছে তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধান।
কেউ দূর্ণীতি করলে দল পাশে দাঁড়াবে না পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, বিডিও এবং ডিএমকে বলা হয়েছে ঘটনার তদন্ত করতে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
মালদার জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, ব্লক অফিসে অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।