ছয় ফিটের পাথরের মুর্তিই সুবর্ন জয়ন্তী বর্ষে বালুরঘাট ব্রীজ কালীমন্দিরের এবার বিশেষ আকর্ষণ, সাতটি নদীর জল ও একমন দুধে স্নান করবে দেবী
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৬ অক্টোবর— ৬ ফুট উচ্চতার পাথরের মুর্তিই এবারে ৫০ বছর পূর্তিতে বালুরঘাটের ব্রিজকালী মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ। প্রায় চার লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরি হচ্ছে দেবী প্রতিমা। রাজস্থান থেকে আনা পাথর দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করছে কলকাতার চিৎপুরের শিল্পী। যা এবারের কালী পূজায় বিশেষ মাত্রা যোগ করবে বালুরঘাট শহরের এই পূজো মন্ডপটি।
বর্তমান ক্লাব ক্যাশিয়ার ঝন্টু লাল চক্রবর্তীর বাবা স্বর্গীয় কানাইলাল চক্রবর্তী স্মৃতির উদ্দেশ্যেই মূর্তিটি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ক্লাবের তরফে। যিনি একসময় এই মন্দিরের প্রথম ও আদি পুরোহিত ছিলেন। মূর্তির পাশাপাশি প্যান্ডেল এবং মন্ডপ সজ্জাতেও নতুনত্ব রাখা হয়েছে এবারে। মন্ডপ তৈরি করছে বালুরঘাটের ভাই ডেকোরেটার্স। আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন বালুরঘাটের স্থানীয় শিল্পী রতন জোয়ার্দার। জানা যায়, ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু হয়ে আসছে এই ব্রিজকালী মন্দিরের পুজো। এবছর পুজোর আগে দেবী প্রতিমাকে সাতটি নদীর জল এবং এক মন দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে মন্দিরে স্থাপন করানো হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাঁচটি নদী এবং তারাপীঠের দ্বারকা নদী ও গঙ্গা নদীর জল দিয়েই স্নান করানো হবে দেবিকে। রাত আটটা থেকে সারারাত ব্যাপী পুজো চলবে মন্ডপ চত্বরব। পূজার পরের দিন চলবে প্রসাদ বিতরণও। চলতি বছর থেকে ব্রীজ কালীর পুজোতে শুরু হয়েছে অন্ন ভোগের আয়োজনও। বাইরে থেকে আসা লোকজন ও এখানে অন্ন ভোগ দিতে পারবে বলে জানিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। শুধু তাই নয় প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার মায়ের পূজা চালু হবে চলতি বছর থেকেই। করোণা সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক এর ব্যবস্থাও থাকবে মন্দিরে।
ক্লাব উপদেষ্টা কাজল মজুমদার জানিয়েছেন, ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে করোনা স্বাস্থ্য বিধিও।