দশমীর রাতে সরকারি বিধি নিয়মের তোয়াক্কা না করে রায়গঞ্জ শহরে দাপালো ডিজে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বলে দাবী পশুপ্রেমীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। প্রশাসনিক নজরদারী বাড়ানোর দাবী।

0
538

রায়গঞ্জ:-সরকারি বিধির তোয়াক্কা না করে দশমীর নিরঞ্জনে দেদারে বাজল ডিজে। শব্দ দানবের দাপটে চরম অস্বস্তীতে রায়গঞ্জবাসী। দশমীর রাতে ডিজে বাজানো নিয়ে যেন চোর পুলিশের খেলা চলল শহরজুড়ে। একদিকে যখন পুলিশ ডিজে বন্ধ করতে ছুটোছুটি করছে, অন্যদিকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচে বিসর্জনের পথে পুজো উদ্দ্যোক্তারা। যা নিয়ে পুলিশি নজরদারীর অভাবকেই দায়ী করেছেন আম জনতা। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট এবং রাজ্যের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরাও। লড়িতে উজ্জ্বল এলইডি লাইটের সাথে উচ্চৈস্বরে ডিজে বাজিয়ে শহরের একাধিক পুজো উদ্দ্যোক্তাদের শোভাযাত্রায় দেখা গেলো উদ্দাম নাচ। নেই কোনো কোভিড বিধিও। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের সামনেই চলল শব্দ দানবের দাপাদাপি। দশমীর পর আজ একাদশী এবং আগামীকাল দ্বাদশীতেও রায়গঞ্জের বন্দর ও খরমুজাঘাট দুই শ্মশান ঘাটে কুলিক নদীতে বিসর্জন হবে। কিন্তু এই দুদিন প্রশাসনিক নজরদারীর দাবী তুলেছেন পশুপ্রেমীরাও। তাদের দাবী, এই ডিজে ব্যবহারে সাধারণ মানুষ বিশেষত অসুস্থ প্রবীনদের পাশাপাশি পথপশু এমনকি পাখিদেরও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এনিয়ে প্রতিবাদে সড়ব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমী ও পশুপ্রেমীরা। যদিও রাতভর নিষিদ্ধ ডিজে নিয়ে অভিযান হয়েছে এবং উদ্দ্যোক্তাদের বোঝানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here