শীতল চক্রবর্তী হরিরামপুর 30 জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-প্রধানের মাধ্যমে এলাকায় হওয়া উন্নয়নের কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উকলি সংসদে।এলাকাবাসীদের অভিযোগ,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে তাদের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে গেলেও কোন কাজ তিনি না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন বারবার।এখন কেন তিনি কাজ হবার পরে সেখানে এসেছেন,তাই তাদের এমন আন্দোলন। তবে সভাপতি কিছুই বুঝতে পারেননি বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন তিনি।যদিও এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, মানুষের উন্নয়নের জন্যই এমন পরিকল্পনা নেওয়া। বিডিওর মাধ্যমে প্রধানের এমন উন্নয়নকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উকলি সংসদে 14 অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকার মতো বরাদ্দ করে সোলার লাইটের মাধ্যমে ট্যাংকি দিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেন পঞ্চায়েতের প্রধান। যা হরিরামপুর ব্লক এর মধ্যে এমন প্রকল্প প্রথম বলেই খবর। শুক্রবার ছিল সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করার দিন। সেখানে হাজির হয়েছিলেন হরিরামপুর ব্লক এর বিডিও পূজা দেবনাথ, হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়, বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুলজার আলম সহ আরো অনেকেই।
উদ্বোধনের আগেই এলাকাবাসীরা মধুমিতা রায়কে সেখানে দেখতে পেয়েই শুরু করে দেন তার সামনে চরম বিক্ষোভ।

বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উকলি সংসদের গ্রামবাসী সুবোদ দে,সুমিতা দেবশমাদের অভিযোগ,বিগত দিনে একাধিকবার গ্রামের উন্নয়ন মূলক কাজের আবেদন জানালেও তাদের সমস্যার কথা কর্ণপাত করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়। ওই সংসদের সোলার সিমস্টাম জলের ট্যাংক উদ্বোধনে তিনি কেন এসেছেন সেই ঘটনা চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় গ্রামবাসীদের মধ্যে। তখনি এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে।তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই ব্লকের মানুষজনের।
বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুলজার হোসেন জানান, মানুষজনদের জন্য সব আমি আমি উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছি।কেন এলাকার লোকজন সভাপতির সাথে এরকম করলেন আমি সেটা জানি না।

ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ জানিয়েছেন, সোলার লাইটের মাধ্যমে পানীয় জলের ট্যাংকের উদ্বোধন করতে যাওয়া হয়েছিল।কেন তারা এমনটা করলেন বুঝে উঠতে পারিনি।সবাইকে নিয়েই কাজের সুচনা করা হয়েছে।
যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের মধুমিতা রায় জানিয়েছেন, কেন তারা এমনটা করলেন তিনি সেটা বুঝে উঠতে পারেননি। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে হরিরামপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে।