চাঁচল, ১৪ জুলাই : রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া, নাকি কালিয়াচক কাণ্ডের গন্ধ। স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির পিছনে পুঁতে দিব্যি দিন কাটাচ্ছিল স্বামী। স্ত্রীর নামে থানায় মিসিং ডায়ারিও করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষজন গতকাল সন্ধেয় উৎস খুঁজতে শুরু করেন।

তখনই বাড়ির পিছনের দেখা যায় স্ত্রীর লাশ। পালানোর আগেই গ্রামবাসীরা স্বামীকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ৭০ বছরের মহম্মদ আলিই তার ৩৫ বছরের চতুর্থ স্ত্রী কালো বিবিকে খুন করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অবশ্য এই কাজে তার আরও কয়েকজন সঙ্গী ছিল।

তাদের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে। গতকাল সন্ধে হয়ে যাওয়ায় কালো বিবির পচাগলা দেহ গর্ত থেকে উদ্ধার করতে পারেনি চাঁচল থানার পুলিশ। আজ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কল্যাণ বড়ুয়ার উপস্থিতিতে স্বরূপগঞ্জ গ্রামের মল্লিকপাড়া বাঁধ এলাকায় মহম্মদ আলির বাড়ির পিছনের গর্ত থেকে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পচাগলা লাশ দেখতে মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিরাদেরও ব্যস্ততা বেড়েছিল অনেকটা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় কালো বিবির বাবার বাড়ির তরফে চারজনের নামে পুলিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্তও। তবে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন পুলিশের সামনে উঠে এসেছে। ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে ৩৫ বছরের ওই মহিলার বিয়ে হল কীভাবে? কী কারণে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী? মহম্মদ আলির আগের তিনটি বিয়ের ইতিহাস কী? কালো বিবিই বা কেন এক বৃদ্ধকে বিয়ে করতে রাজি হলেন? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ