শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 12 ই জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-দিনে দুপুরে অন্যত্র এক ব্যক্তিকে খুন করে গোপনে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের বানগড়ে উপরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে পরিবারে লোকজনদের দাবি ,টাকার লোভে ইলেকট্রিক শক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে বলে অভিযোগ তাদের। ঘটনা ঘটার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে সেখানে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার আইসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
দিনে দুপুরে এমন খুনের পর মৃতদেহ ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে গঙ্গারামপুর শহর জেলা জুড়ে।

পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম রেজাবুল মিয়া (৪০)বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার দেবীপুর গ্রামে। পেশায় তিনি পশু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বহুদিন ধরেই বলে খবর।

মর্মান্তিকভাবে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে,সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন শিববাড়ি বাজারে যাবে বলে । দুপুর গড়াতেও বাড়ি না ফেরায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পরিবারের সদস্যদের। যার পরে শিববাড়ি এক বাসিন্দা বাণগড় এর উপরে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে তার দেহ সনাক্ত করে ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রিক শক দিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হতেও পরে।পরে গোপনে তাকে সেখানে ফেলে দিয়ে চলে গেছে দুস্কৃতিকারীরা।

তবে প্রশ্ন উঠেছে সারাদিনে লকডাউনের মধ্যে বানগড়ে এলাকা দিয়েই অনেকেই যাতায়াত করে থাকেন বিভিন্ন সময়ে । নিচে দেখো ফিরে যাওয়ার সেই বিষয়টি কারো নজরে আসলো না কেন। তাহলে কি গাড়ি ব্যবসার করে তার দেহ সেখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল টা নিয়েই জলঘোলা চলছে।তবে মৃতদেহ পড়ে থাকার এমন খবর এলাকায় ছড়াতেই গ্রামবাসীরা সেখানে এসে ভিড় জমায়। খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনদের কাছে । পরিবারের লোকজন এসে মৃতদেহ শনাক্ত করার করে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সকল সদস্যরা।

মৃতের ভাই ইয়ার আলী , মা শহারবান বিবি ও তার বোন আকতারা বিবিরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন,রেজাবুল এর কাছে সব সময় মোটা অঙ্কের টাকা থাকতো। সেই টাকার জন্যই হয়তো তাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুন করা হয়েছে। তার দিয়ে একাধিক পোড়া ক্ষত চিহ্ন দেখেই মনে হয়েছে।দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।

এলাকার বাসিন্দারা এমন ঘটনার দোষীদের কঠোর সাজার দাবি জানাই।

ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছেন।
জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত করে অবশ্যই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

এমন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে মৃতের পরিবার গঙ্গারামপুর সহ দিনাজপুর জেলাতেও।