কালিয়াগঞ্জ:-” তৃনমূল দলে এসে দলের সমস্ত সুবিধা ভোগ করে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে দল ত্যাগ করে যাওয়া গদ্দার / মীরজাফর কার্তিক চন্দ্র পাল-কে তৃনমূল দলে আর প্রয়োজন নেই ” কালিয়াগঞ্জ শহর প্রাক্তন তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পালের বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃনমূল কংগ্রেসে ফেরার গুঞ্জন উঠতেই ঠিক এই ভাষাতেই শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে কালিয়াগঞ্জে। তৃনমূল কর্মী সমর্থকদের সাঁটানো এই পোস্টার ঘিরে কালিয়াগঞ্জ শহরে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। বিজেপির দাবি এটা তৃনমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত। তৃনমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি তৃনমূল কর্মী সমর্থকেরা আবেগপ্রবন হয়েই এই পোস্টার লাগাতে পারে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদল হবে এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থী হবেন তিনি এই আশায় নির্বাচনের আগে তৃনমূল কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শুভেন্দু অনুগামী কালিয়াগঞ্জ শহর তৃনমূল সভাপতি তথা কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। বিজেপিতে যোগদান করলেও প্রভাবশালী এই নেতাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। মুখ বুজে বিজেপির হয়েই নির্বাচনে কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ক্রমশ বিজেপি দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন তৃনমূল কংগ্রেস ত্যাগী বিজেপি নেতা কার্তিক চন্দ্র পাল। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হলেও এদিকে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃনমূল কংগ্রেস। ফলে পুরোনো দল তৃনমূল কংগ্রেসে ফেরার গুঞ্জন উঠেছে কার্তিক পালের। আর এই গুঞ্জন উঠতেই তীব্র প্রতিবাদে নেমে পড়েছে কালিয়াগঞ্জের তৃনমূল কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মী সমর্থকেরা। গদ্দার / মীরজাফর আখ্যা দিয়ে কার্তিক পাল কে তৃনমূল কংগ্রেসে প্রয়োজন নেই বলে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে কালিয়াগঞ্জ শহর। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে কালিয়াগঞ্জে। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শহর মন্ডল কমিটির সভাপতি ভবানী চরন সিংহ জানিয়েছেন, এটা তৃনমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত। বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডেই বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। তাই এই ধরনের চক্রান্ত করছে তারা। আমাদের দলের কোনও নেতা বা কর্মীর তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। অপরদিকে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি কমল ঘোষ জানিয়েছেন, কার্তিক পাল তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের গুঞ্জন ওঠায় দলের কর্মী সমর্থকেরা আবেগ বশত এই ধরনের পোস্টার লাগাতে পারে।