বুনিয়াদপুর পৌরসভা নতুন অফিসের কাজ মাঝপথে সরকারি দপ্তরের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ। সমস্যা নিয়েই পৌরসভার কাজ চলছে ছোট ঘরে। উদ্যোগী হয়েছেন চেয়ারম্যানও
শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, 6জুলাই ,দক্ষিণ দিনাজপুর:—– নতুন পৌরসভা তৈরি করার অর্থের বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকা রাজ্য থেকে না আসায় সেই কাজ দুবছর ধরে বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি দপ্তরের কাজেই সরকার টাকা বরাদ্দ মাঝ পথে বন্ধ হয়ে থাকার পুরসভা অফিস তৈরীর মাঝপথে বন্ধ হবার এমন ঘটনাটি ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভায়।ফলে পুরসভা গঠন হবার প্রায় তিন বছর পরেও অস্থায়ীভাবে ছোট জায়গাতেই কয়েকটি ঘর নিয়েই চালাতে হচ্ছে পুরসভার অফিস চলে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়ে টাকা না আসায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে খবর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে খুব দ্রুত নতুন পৌরসভা তৈরি হোক সেটা চাইছেন খোদ পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অখিল বর্মনও। গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক জানিয়েছেন ,বিষয়টি দেখা হচ্ছে কোন জায়গায়ে সেটি আটকে রয়েছে ।সেটা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার এটাই যে কবে নাগাদ প্রশাসনের তরফে টাকা বরাদ্দ হয় আর পৌরসভার কাজ শেষ হয়ে শহরবাসী নতুন করে সেখান থেকে পরিষেবা পায় সেটাই দেখার।

2017 সালের দিকে গঙ্গারামপুর মহুকুমার বুনিয়াদপুর শহর হরিরামপুরের তৎকালীন বিধায়ক তথা বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই বুনিয়াদপুর শহর পৌরসভার রূপ পেয়েছে।সেই সময় বুনিয়াদপুরের শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত,এলাহাবাদ ও মহাবাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা নিয়ে বুনিয়াদপুর পুরসভা ঘটন হয়।সেখানে 14টি ওয়াড নিয়ে বুনিয়াদপুর পুরসভা ঘটন হয়।পুরসভা ভোট হলে 14টির মধ্যে 13টি আসন নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমবারের ভোটে পুরসভা দখল করে। কিন্তু প্রথমে সরকারি কোন পুরসভার ঘর না থাকায় প্রশাসনের তরফে গঙ্গারামপুর মহুকুমার অফিসের একটি ঘর থেকেই পুরসভার কাজ চলছিল পুরবোড তৃণমূল গঠন করার পরে। যেহেতু বুনিয়াদপুর পীরতলা এলাকায় অবস্থিত শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকা পৌরসভায় পরিণত হয়ে পুরসভা গঠন হয়েছে।সেই কারনেই পঞ্চায়েতের আর কোনো অস্তিত্ব না থাকায় জন্য সেখানেই পুরসভার অফিস চালু করার ভাবনা নেই প্রশাসনের।তাই প্রশাসনের তরফে অস্থায়ীভাবে শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকেই পৌরসভা হিসেবে তৈরি করে দিয়ে তার কাজকর্ম চালাতে শুরু করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের অখিল চন্দ্র বর্মন। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের বসার জায়গা থাকলেও বাকি সমস্ত স্থায়ী ওর অস্থায়ী অল্প জায়গাতে বসার কোন জায়গা না থাকায় নানান সমস্যা নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে খবর।
বুনিয়াদপুর পৌরসভা ও প্রশাসন সূত্রে খবর 2017 সালের শুরুতেই রাজ্য সরকারের 1একর 69 শতক জায়গার উপরে বুনিয়াদপুরে সেলিমাবাদ মৌজায় পৌরসভার প্রশাসনিক ভবনের জন্য বিল্ডিং এর কাজ শুরু হয়। সেই টাকার জন্য রাজ্য পৌর উন্নয়ন দপ্তর দপ্তর থেকে 2 কোটি 69 লক্ষ টাকার বরাদ্দ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর , সেই টাকার মধ্যে ঠিকাদার সংস্থা মাত্র এখন 45 লক্ষ টাকা পেয়েছে। ঠিকাদার সেই টাকা দিয়ে সিভিল এর কাজ মোটামুটি শেষ এর ফেলেছেন। কিন্তু বাকি টাকার অভাবে ইলেকট্রিক এর কোন কাজেই সেখানে হয়নি বলে খবর । সেইসঙ্গে পৌরসভার বিভিন্ন যে দপ্তর গুলিকে সাজানোর জন্য এখনো কাজগুলি বাকি রয়েছে বলে খবর।
বুনিয়াদপুর পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, অল্প জায়গার মধ্যে পীরতলা তে শুধুমাত্র পৌরসভার স্যানিটাইজেশন এর কাজটা করা সম্ভব হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কাজগুলি করার জন্য কোন অফিস না থাকায় সেই কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে। পুরো দপ্তরে জানানো হয়েছে টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শেষ হলে অনেক অর্থেই উপকৃত হবেন শহরবাসী।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা আছে। খুব তাড়াতাড়ি পৌর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে অর্থের নিজেই কাজ শেষ করা যায় সে বিষয়টা দেখা হচ্ছে।
এখন দেখার এটাই কবে নাগাদ রাজ্য সরকারের পৌর দপ্তর পৌর ভবন তৈরীর জন্য বকেয়া টাকা দেয় এবং সেই কাজ শেষ হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।