মালদা:- এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো রহস্যের জট তৈরি হয়েছে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে। বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে আইনানুগ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষেরা। আইনানুগ তদন্তের দাবি জানিয়ে গাজোল থানার লিখিতভাবে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই বৃদ্ধা। মানসিক অবসাদ এর জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সম্পত্তি নিয়ে ঐ বৃদ্ধার সাথে তার ছেলের বিবাদ লেগেই থাকত। বহুবার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ওই বৃদ্ধার হঠাৎ আত্মহত্যার খবর পেয়ে চমকে উঠেন এলাকাবাসীরা। এটা কি নিছকই আত্মহত্যা নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও ঘটনার আইনানুগ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর মৃত বৃদ্ধার নাম হাসিনা বেওয়া (৬০) বাড়ি গাজোল থানার অন্তর্গত পানডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুব শহর এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার এক বাসিন্দা জানান তিনি রাতে খবর পান ওই বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এরপর সকালবেলা ছুটে গিয়ে দেখেন বিছানায় শুয়ে রয়েছেন মৃত অবস্থায়। তার ছেলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে খুলে শুয়ে রেখেছে। তবে তিনি এও জানান পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে ঐ বৃদ্ধার সাথে তার ছেলের প্রতিনিয়ত মনোমালিন্য হত। দীর্ঘদিন ধরে মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। হঠাৎ করে তার এই মৃত্যুর খবর পেয়ে চমকে ওঠেন সকলেই। তার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
যদিও তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে ওই বৃদ্ধা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কোন সম্পত্তি নিয়ে নয় বরং মানসিক ভারসাম্যহীনতা জন্য মাঝে মধ্যে মনোমালিন্য হত। এটা একেবারে আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আমাদের নেই।
বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক ভাবে আইনানুগ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে গাজোল থানা লিখিতভাবে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে যে রহস্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা একমাত্র তদন্তের পর সমাধান হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষেরা