শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ৩০জুন, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-দলের জেলা কমিটিতে কোন আলোচনা ছাড়াই কোন নিয়ম না মেনেই প্রবীন তৃণমুল নেতা তথা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ও দলের এক যুব তৃণমুলের সাধারন সম্পাদককে বহিস্কার করা হয়েছে।তাই তাঁরা তৃণমুলেই আছেন আর থাকবেন বলে ঘোষনা করলেন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যানের ভাই চেয়ারপার্সন প্রশান্ত মিত্র।বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া অঞ্চন তৃণমূলের সদস্যদের নিয়ে একটি সভায় এমনটাই ঘোষনা করলেন প্রশান্তবাবু।নতুন করে দলে কাজ করার সুযোগ পাবার পরে বাসুরিরা এলাকার দুই তৃণমুল নেতা বর্তমানে দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।যদিও দলে এমন আলোচনা ছাড়াই এমনটা হয়েছে বলে বহিঃস্কৃত নেতার সঙ্গে টেলিফোনে জেলা ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিরা দাবি করেছেন।তবে তাদের নিয়ে ভাবনা আছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন৷
কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া অঞ্চল তৃণমুলের প্রাক্তন সভাপতি সহরব আলী ও অঞ্চলের যুব নেতা লিয়াকত আলীকে দল থেকে বহিঃস্কারের কথা জানানো হয় বলে খবর।
তৃণমুল সুত্রে খবর, বিগত ১৭বছর ধরে গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া অঞ্চল তৃণমুল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট তৃণমুল নেতা সহরব আলী, এলাকার আরেক যুব নেতা লিয়াকত আলী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে দলের বহু পদে ছিলেন।বর্তমানেও তিনি দলের পদে রয়েছেন।এমনকি তাঁর গ্রাম সংসদ জাহাঙ্গিপুর থেকে বহু দিন ধরেই তিনি বামেদের সঙ্গে ভোটের ময়দানে লড়াই করে কখনও নিজে,কখন দলীয় প্রার্থীকে কখনও তাঁর স্ত্রীকে পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করে ভোটে জয়লাভ করিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে বাসুরিয়া গরীব৭০০/৮০০ বাসুরিয়া গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি এলাকা থেকে মানুষজনদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জিনিশপত্র বিলি করা অনুষ্টানে পঞ্চায়েতের অঞ্চল তৃণমুল সদস্যদের তরফে। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা তৃণমুল নেতা তথা পৌরসভার চেয়ারাপার্সন প্রশান্ত মিত্র,অন্যতম তৃণমুল নেতা কাঞ্চন সেন, কুমারগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মাহুমুদা বেগম, জাহাঙ্গিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু সরকার, প্রাক্তন প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির কমধক্ষ্য নিকোলাস হেমরম,আসিরুদ্দীন আহম্মেদ অঞ্চল তৃণমুল অন্যতম নেতা সহরব আলী,তৃণমুল সমর্থক লিয়াকত আলী সহ একাধিক নেতৃত্ব সহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷
সেখানেই জেলা তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রীর ভাই চেয়ারাপার্সন প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন ,দলের জেলা কমিটিতে কোন আলোচনা ছাড়াই কোন নিয়ম না মেনেই প্রবীন তৃণমুল নেতা তথা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ও দলের এক যুব তৃণমুলের সাধারন সম্পাদককে বহিঃস্কার করা হয়েছে। তাই তাঁরা তৃণমুলেই আছেন আর থাকবেন।
বাসুরিয়া অঞ্চল তৃণমুল নেতা সহরব আলী ও লিয়াকত আলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দায়িত্বে থাকারাই অনিয়ম করছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই আমাদেরকে এমনটা করা হয়েছিল।দল কাজ করার সুযোগ দিয়েছে খুশি হয়েছি।
দলে এমন আলোচনা ছাড়াই এমনটা হয়েছে বলে বহিঃস্কৃত নেতার সঙ্গে টেলিফোনে জেলা তৃণমুলের সভাপতি ও ব্লক তৃণমুল কংগ্রেস সভাপতির কথা হয়েছে বলে লিয়াকত বাবু দাবি করেছেন। তবে তাদের নিয়ে ভাবনা আছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।