পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৭ জুন––– মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, উধাও আত্রেয়ীর পাড়ের আবাদি জমি। উদাসীন প্রশাসনের ভুমিকায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বালুরঘাটের পাগলীগঞ্জের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, মাটি মাফিয়ারা কোন নিয়ম নীতি না মেনে জেসিবি দিয়ে বেপরোয়া ভাবে মাটি কাটছে নদীর পাড়ের আবাদি জমির। আর তাতেই চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। শুধু তাই নয়, এলাকায় তৈরি হয়েছে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্মে ব্রীজ ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও। আর যাকে ঘিরেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

জানা গেছে বিগত বেশকিছু দিন যাবত চক্ভৃগুর বাসিন্দা তথা মাটি মাফিয়া নিকুঞ্জ মন্ডলের নির্দেশে বালুরঘাটের পাগলীগঞ্জ এলাকায় দেদারে চলছে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কাজ । জেসিবি দিয়ে ট্রাক্টরে ট্রাক্টরে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটাতে বলে অভিযোগ। দিন রাত এককরে নদীর ধারের উর্বর আবাদি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে এলাকায়। প্রতিবাদ করলে ওই মাটি মাফিয়ার তরফে মিলছে নানা হুশিয়ারি বলেও অভিযোগ। আর যার জেরে একদিকে যেমন চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। তেমনি এর জেরে যে কোন মুহূর্তে এলাকার মানুষের চলবার একমাত্র ব্রিজটিও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবে এমন অবৈধ কাজ চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবী এলাকায় মাটি কাটা বন্ধ করতে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে ।
এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত মন্ডল, নিরঞ্জন বর্মন ও সঞ্জীব চৌধুরীরা জানিয়েছেন, এই ভাবে মাটি ও বালি কেটে নিয়ে গেলে ব্রিজের ক্ষতির পাশাপাশি এলাকায় চাষবাসেরও ক্ষতি হবে । বর্ষার সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ওই ব্রিজটিও । প্রশাসন দ্রুত যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই দাবীই জানিয়েছেন ।

বিপুল পাহান ও দুলাল মহন্ত নামে দুই ট্রাক্টর চালক বলেন, চকভৃগুর বাসিন্দা তথা তাদের মালিক নিকুঞ্জ মন্ডলের নির্দেশেই চলছে এই মাটি কাটার কাজ। সেটা বৈধ না অবৈধ তা তাদের জানা নেই।

এডিএম এলআর মনীশ ভর্মা জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।