রায়গঞ্জ:-বিজেপিতে থেকে এলাকার কোনও উন্নয়ন করতে পারছিলেন না, বিজেপি সাংসদ বা বিধায়কের কোনও সাহায্য সহযোগিতাও মিলছিলনা। ফলে পঞ্চায়েত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষকে সার্বিক পরিষেবা দিতে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সহ ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এরফলে বিজেপির দখলে থাকা ১৪ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত চলে এল তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিওর কাছে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে ১৪ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান যমুনা বর্মন সহ তিন সদস্য তৃনমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেন। রায়গঞ্জ ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির প্রধান সহ ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য তাদের দলে আসায় ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে আসল।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। মোট ১৩ টি আসনের মধ্যে ৯ টি পায় বিজেপি এবং ৪ টি পায় তৃনমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির যমুনা বর্মন। গত আড়াই বছর ধরে বিজেপি পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার হয়ে ব্যাহত হচ্ছিল গ্রামপঞ্চায়েতের কাজ। পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা বর্মন বলেন, বিজেপি থেকে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ সাধারন মানুষের জন্য করতে পারছিলেন না। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হতে তিনি এবং দশরথ রায় ও বনিফাস কেরকেট্টা নামে তিন বিজেপি সদস্য আজ তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি। এরফলে ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এখন তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে চলে এলো। প্রধান হিসেবেই থেকে গেলেন যমুনা বর্মন। তৃণমূল কংগ্রেসের রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃনমূল কংগ্রেসের ব্যাপক জয়ে জেলার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত বিজেপি সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। বিজেপিতে থেকে তাঁরা কোনও কাজ করতে না পেরেই তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করে রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হচ্ছেন। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে পঞ্চায়েত সদস্যদের যোগদান প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সাফাই তৃনমূল কংগ্রেসের লাগাতার সন্ত্রাস আর হুমকির জেরে বিজেপির প্রধান ও সদস্যরা কাজ করতে পারছিলেন না। তাদের ভয় দেখিয়েই একপ্রকার জোর করে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে পঞ্চায়েত দখল করছে তৃনমূল কংগ্রেস।