লকডাউনের মধ্যে গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ প্রশাসনের তরফে পৌরসভার 4 টি ওয়ার্ডের দুস্থ অসহায় বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে খাবারের দেবার পাশাপাশি মোবাইল নম্বর বিলি করে সহযোগিতার বাড়িয়ে দেওয়া হল পুলিশ প্রশাসনের তরফ, পুলিশের এমন কাজ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

0
549

শীতল চক্রবর্তী,গঙ্গারামপুর 22মে  দক্ষিণ দিনাজপুর। লকডাউনের মধ্যে সমস্যায় পড়া শহরবাসীর পাশে দাঁড়ালো থানার পুলিশ প্রশাসন। ওই সমস্ত বয়স্ক ও সেইসঙ্গে দুস্থ  নাগরিকদের শুধু খাবারে তুলে দেওয়া নয় তাদের প্রয়োজনে বয়স্ক ও দুঃস্থ  মানুষজনেরা যদি কোন বিপদে পড়েন বা তাদের কোন জিনিস বাজার থেকে আনতে  হয় পুলিশের দেওয়া ফোন নম্বরে তারা সেই সহযোগিতা করবেন বলে মোবাইল নম্বর তুলে দিলেন মহুকুমার পুলিশ আধিকারিক ও থানার আইসি সহ টাউন বাবুরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ প্রশাসনের তরফে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বেলবাড়ি এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমনই সমাজসেবামূলক কাজ করেন গঙ্গারামপুর থানা ও মহুকুমার  পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা।পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পুরসভার  চারটি  ওয়াডের 50জনকে এমন সহযোগিতা করা হবে। পুলিশের এমন সহযোগিতা পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সাধুবাদ জানিয়েছেন সহযোগিতা পাওয়া বয়স্ক ও দুঃস্থ নাগরিক সহ ওই এলাকার বাসিন্দারা।

ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দেব  বালুঘাট শহর এলাকা থেকে বয়স্ক নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কি ধরনের অসুবিধা রয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে তা খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ফোন নম্বর দিয়ে  সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তুলে দেওয়া হয় কিছু শুকনো খাবার জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে। এর পরেই গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু প্রথম দফার লকডাউন এর সময় যেভাবে শহর এলাকার দুস্থ ও বয়স্ক নাগরিকের রয়েছেন তাদের কাছে পুলিশ পাঠিয়ে চাল ডাল দিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি  পুলিশের মাধ্যমে তাদের বাড়ির বাজার ঔষধপত্র কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এমন কাজে থানার আইসি প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন প্রথম দফার লকডাউন এর কাজে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে। ফের দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হয় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপ কুমার দাসকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বেলবাড়ি এলাকায় দুস্থ অসহায় ও বয়স্ক নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে যেমন খাবার তুলে দেওয়া হয়। তেমনি আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু, থানার টাউন বাবু শুভঙ্কর চক্রবর্তী ফোন নম্বর লিখে দেন। দরকারে শুভঙ্কর চক্রবর্তী সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তিনি তাদের ওষুধ পত্র থেকে এনে দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সহযোগিতা করবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।

গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কুমার দাস জানিয়েছে, মহুকুমার বিভিন্ন থানা গুলিতে এমন কাজ  করে লকডাউনের মধ্যে মানুষজনের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে ।পুলিশের তরফে  আমরা সব সময় এমন কাজ করে যাব ।

গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, প্রথম দফার লকডাউনে আমরা যেভাবে এই সমস্ত দুস্থ বয়স্ক শহরবাসী থেকে শুরু করে ব্লকের মামীর জন্য প্রয়োজন মিটিয়ে এসেছিলাম এখন তাই করা হচ্ছে। শুক্রবার শহরের চারটি ওয়ার্ড এ 50 জনকে খাবারও ফোন নাম্বার দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার জন্য আশ্বাস দেওয়া হল। এমন এমন কাজ ধারাবাহিকভাবে করা হয়।

পুলিশের কাছ থেকে এমন সহযোগিতা পাওয়ার পরে বয়স্ক নাগরিক ও ওই এলাকার বাসিন্দা জানিয়েছেন , খুবই মানবিক কাজ করেছেন তারা। ধন্যবাদ জানাই পুলিশ প্রশাসনকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here