পৌরসভার তরফের সেফহোম খুলে দেওয়া হলো পান সমিতি এলাকার স্টেডিয়ামে চেয়ারপারসনের প্রচেষ্টায়, খুশি হয়েছেন সকলেই

0
495

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 19মে দক্ষিণ দিনাজপুর , শহর এলাকায় কোভিডে আক্রান্তদের কথা মাথায় রেখে পৌরসভার তরফে সেফহোম খুলে দেওয়া হলো চেয়ারপারসনের প্রচেষ্টায়। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের পান সমিতি এলাকার স্টেডিয়ামে সেফহোম এর সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন পৌরসভার চেয়ারপারসন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, পৌরসভার আধিকারিক, চিকিৎসক থেকে বিশিষ্টজনেরা। খতিয়ে দেখেন সেখানে পৌরসভা এলাকার হকারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও। চেয়ারপার্সন সহ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, শহর এলাকার মানুষ জনেরা কোভিডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকেরা যদি তাদের সেফ হোমে রাখার পরামর্শ দেন তাহলে তারা পৌরসভা ও প্রশাসনের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের পরিষেবা পেয়ে সেখানে থাকতে পারবেন। পৌরসভা বাশির জন্য সব সময় তারা কাজ করে যাবেন তাদের সুবিধায় বলে জানানো হয়েছে। চেয়ারপার্সনের এমন কাজে খুশি হয়েছেন শহরবাসীও।


গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারপারসনের চেয়ারে নতুন করে বসার পরেই শহর এলাকার মানুষজন দের জন্য একাধিক কাজ করতে শুরু করে দেন প্রশান্ত মিত্র। নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসার পরে বিভিন্ন জায়গায় মাইকে করে শহরের এলাকার মানুষজনদের সচেতন করতে প্রচার চালাতে শুরু করে দিয়েছে পৌরসভার তরফের চেয়ারপারসন। এছাড়াও এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষজনের কি ধরনের সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার রয়েছে সে বিষয়ে সচেতন করা শুরু করেন তিনি। এমনকি শহর এলাকার মানুষজন যদি নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকরা তাদের সেফ হোমে থাকার পরামর্শ দেন সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সেফহোম খোলার পরিকল্পনা নেন চেয়ারপারসন প্রশান্ত বাবু। বুধবার দুপুরে গঙ্গারামপুর পৌরসভার 18নম্বর ওয়ার্ডের পান সমিতি এলাকার স্টেডিয়ামে সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র, গঙ্গারামপুর মহাকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ, পৌরসভার আধিকারিক, পৌরসভার চিকিৎসক পিসি বসাক থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা। সেখানেই চেয়ারপারসন প্রশান্ত মিত্র সহ উপস্থিত সকলেই খতিয়ে দেখেন পৌরসভা এলাকার হকারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।


সমস্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নেবার পরে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন, শহর এলাকার মানুষজনেরা কোভিডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকেরা যদি তাদের সেফ হোমে রাখার পরামর্শ দেয় তাহলে তারা পৌরসভা প্রশাসনের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের পরিষেবা পেয়ে স্টেডিয়ামে সেফহোমে থাকতে পারবেন। এখানেই হকারদের যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


গঙ্গারামপুর মহাকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে যেখানে দরকার হবে সেখানেই ধরনের সেফহোম তৈরি করা হবে। পুরসভা ও প্রশাসনের মাধ্যমে এখানে সেটি চলবে। আশা রাখছি এতে আক্রান্তদের সুবিধা হবে।
গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারপারসনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় এমন সেভ ফরম তৈরি হয় খুশি হয়েছেন শহরবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here