শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 18 মে দক্ষিণ দিনাজপুর – তৃণমূল বিজেপির তর্কবিতর্ক থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সহ তিন কর্মীর ফাটল মাথা বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের।অপরদিকে ঘটনায় উতপ্ত হয়ে তৃণমূল কর্মীরা এক বিজেপি কমীকে মারধর করা সহ ভাংচুর করে বিজেপি কর্মীর বাড়ি বলে অভিযোগ।সোমবার রাত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার রাঘবপুর এলাকার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পরে যায়। আহত তৃণমূলের সমাজসেবী তথা অঞ্চল সভাপতি সহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ এলাকা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য বিজেপি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের মারধর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। রাতেই ঘটনাস্থলে গঙ্গারামপুর থানার আইসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে পুরো ঘটনা সামাল দেয়।এলাকায় বসানো হয় পুলিস পকেট। এমন ঘটনাই শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।

সূত্রে জানা গেছে,সোমবার রাত্রে রাস্তায় একটি গাড়ি চাকা গর্তে ফেঁসে যায় ,সেখানে তৃণমূল বিজেপির দুই দলের লোকজন গাড়িটিকে উদ্ধার করতে সাহায্যের জন্য এলে বিজেপির এক কর্মী জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে ঝামেলা করেন এলাকার প্রতিবেশীদের মধ্যে।তার পরেই তিনি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বিজেপির চার কর্মী বলে অভিযোগ তৃণমূলের।ঘটনায় তৃণমূলের তিনজন আহত বলে অভিযোগ। এরপরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের প্রিয় নেতাকে কল্যাণ দাস কে কেন এভাবে মারা হলো সেই ঘটনার জানার পরেই রাঘবপুরে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক ছুটে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে।

6নম্বর গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী কল্যাণ দাস এর অভিযোগ, বিনা কারণে বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে ঝামেলা করতে চেয়েছিল। আমি ঝামেলা মেটাতে গিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার এক ভাই সহ মোট তিনজন কে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক সেটাই চাই। অপরদিকে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ,এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের লোকজন বিজেপির এক কর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর করে তাকেও আহত করেছেন।দলের তরফে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এমন ঘটনা খবর পাওয়ার পরেই গঙ্গারামপুর এর প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন।পরে গৌতম দাস অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিজেপি এই আসনে জয়লাভ করার পরে আমাদের কর্মীদের বিনা কারণে আক্রান্ত করছে বেশ কয়েকজনকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হোক সেটাই চাই। ঘটনার খবর পেতেই মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর এর পাশাপাশি তাদের এক কর্মীর উপরে হামলা করলে একজন গুরুতর অবস্থায় গঙ্গারামপুর হসপিটালে ভর্তি হন ।ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি মাননীয় শ্রী বিনয় কুমার বর্মন ,বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ড: সুকান্ত মজুমদার।

জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্যরা।বালুরঘাটে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূল অস্থির পরিস্থিতি করতে চাইছে। আমাদের কর্মীদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। দেখে গেলাম, প্রশাসন ব্যবস্থা নেই সেই দাবি জানায়। বিনা কারণে তাদের তৃণমূল নেতা কল্যাণ দাসকে এভাবে মারধরের ঘটনায় প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থক জড়ো হয়। য

দিও কল্যাণ বাবু এসে এমন পরিস্থিতি প্রশাসন মোকাবেলা করে করা হাতেপুলিস প্রশাসন দমন করবে বলেই তিনি দাবি জানান আইসির কাছে। গঙ্গারামপুর পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এমন ঘটনা শোরগোল পড়ে থাকা জুড়ে