মন্ত্রী হয়ে জেলায় ফিরতেই কাজে হাত বাড়ালেন বিপ্লব, কোভিড ও জেলার উন্নয়ন নিয়ে কৃষি বিপনন মন্ত্রীর বৈঠক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে।
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৫ মে––– মন্ত্রী হয়ে জেলায় ফিরতেই জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে জরুরি বৈঠক সারলেন রাজ্যের কৃষি বিপনন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। করোনা সহ সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি জেলা পরিষদের থমকে থাকা কাজর তদারকিও করেন মন্ত্রী । শনিবার জেলার নবনির্বাচিত মন্ত্রী সহ আরো দুই তৃণমূল বিধায়ককে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের তরফে।
এদিন দুপুরে বালুরঘাট শহরের জেলা পরিষদের সভাঘরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এই বৈঠকে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে সহ জেলার দুই অতিরিক্ত জেলা শাসক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলন জেলা পুলিশের ডি এস পি সোমনাথ ঝাঁ। পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ সভাধিপতি ললিতা টিজ্ঞা সহ অনান্য আধিকারিক ও কর্মাধক্ষ্যগন। জেলায় সর্ব শেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে আলোচনা করে খোজখবর নেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। পাশাপাশি জেলা হাসপাতাল ও মহুকুমা হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে গ্রামীনস্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাতে অবিলম্বে করোনার স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা যায় তারও নির্দেশ দিয়েছেন বিপ্লব মিত্র ।

কৃষি বিপনন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র তার নিজের দপ্তরকে এই জেলার পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গ নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন। বিপ্লব বাবু জানান, তার দপ্তর উত্তরবঙ্গের জেলা গুলি থেকে দক্ষিনবংগে বিশেষ ভাবে সক্রিয়। তিনি চান দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি যাতে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও তার দপ্তর সমান ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে অবিলম্বে কাজ শুরু করবেন।
দক্ষিণবঙ্গে এই করোনা কালে ঘরে ঘরে তার দপ্তরের উৎপাদিত টাটকা সামগ্রী নায্য দামে পৌছে যাচ্ছে। তাতে বহু মানুষ উপকৃত যেমন হচ্ছে তেমনী তার দপ্তরের কাজের গতি আসছে। সেই গতি যাতে উত্তরবঙ্গের দু একটি জেলায় ( দক্ষিন দিনাজপুর, কোচবিহার) অফিস থাকা বাদে অন্য জেলা গুলিতে আনা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে তিনি সচেষ্ট হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।