“সাদা শাড়ির দিন গেছে, এখন সাদা দাড়ির দিন এসেছে” হিলিতে শেষ দিনের প্রচার ঝড়ে এসে বললেন দিলীপ ঘোষ
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৩ এপ্রিল¬¬¬––– “সাদা শাড়ির দিন গেছে, এখন সাদা দাড়ির দিন এসেছে” শুক্রবার শেষ দিনের প্রচারে হিলিতে এসে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দক্ষিন দিনাজপুরের সীমান্ত শহর হিলিতে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ীর হয়ে ঝাঝালো বক্তব্য রাখেন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, দিদি সবখানে বলছে কেউ মোদির মুখ দেখতে চায় না। আসলে দিদি কেউ আপনার মুখ দেখতে চায় না, তাই ভাঙা পা দেখাচ্ছেন।তিনি আরো বলেন, আপনি সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চপ্পল পড়ে লোককে খুব বোকা বানিয়েছেন । সাদা শাড়ির দিন গেছে, এখন সাদা দাঁড়ির দিন এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে সাদা দাড়ি হবে। মানুষের বিশ্বাস সাদা দাঁড়ির উপরই আছে’। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছটি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫টিতেই পথসভা করে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রার্থনা করেন দিলীপ ঘোষ । করোনার জেরে যখন অনান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে শেষদিনের প্রচারে তেমন ঝাপাতে লক্ষ্য করা যায় নি। তখন একা দিলীপ ঘোষ সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করেই দিনভর দাপিয়ে বেড়ালেন দক্ষিন দিনাজপুরের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে। হেলিকপ্টারে চেপে এদিন প্রথমেই জেলার সীমান্ত শহর হিলিতে অশোক লাহিড়ীর হয়ে নির্বাচনী সভা সারেন তিনি। যেখানে রাজ্য সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ অনান্য জেলা নেতৃত্বরা। করোনা বিধি মেনে পথসভা করার কথা থাকলেও সেভাবে কোন নির্দেশই মানতে দেখা যায়নি সেখানে উপস্থিত থাকা অধিকাংশ নেতৃত্বদের। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা অনেককে মাস্কই পড়তে দেখা যায়নি। শেষ দিনের প্রচারে বিরোধীদের পিছনে ফেলে বিজেপি অনেকটা এগিয়ে গেলেও করোনা বিধি ভেঙে এমন পথসভা নিয়ে খানিকটা বিতর্ক ছড়িয়েছে গোটা জেলা জুড়েই।
যদিও দিলীপ ঘোষ এদিন সভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, আজকে মালদায় সভা ছিল মোদির। সবাই বলছেন দাদা মোদী আসছেন না । তিনি বলেছেন টিভিতে দেখে নিন । নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই তাদের সমস্ত সভা বাতিল করা হয়েছে ।
এদিন সবশেষে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে আস্বস্ত করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, কোন লাল চোখকে ভয় পাবেন না । কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বুথে । কেউ চমকাতে পারবে না । ইলেকশন কমিশন সবসময় আছে । কিছু হলে থানায় জানান । আমাদের জানান । সেই জন্য সকাল সকাল ভোট দিন । আগে ভোট দান তার পরে জল পান ।