পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৪ এপ্রিল–––– খরার শুরুতেই জলশুন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের লাইফ লাইন। নদী খনন নিয়ে দড়ি টানাটানি কেন্দ্র ও রাজ্যের। চাষাবাদ নিয়ে ঘুম উড়েছে সীমান্ত এলাকার কৃষকদের। সমস্যায় নদীর জলের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার কৃষক । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় আত্রেয়ী নদী জল শূন্য হয়ে পড়ায় মাথায় হাত পড়েছে এলাকার কৃষকদের । নদী ড্রেজিং নিয়ে রাজ্যকে দুষে জরুরী কালীন ব্যবস্থার নেবার দাবি জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দক্ষিন দিনাজপুরের জেলা শাসকের।

বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় নদী ড্রেজিং করা সম্ভব হয়নি । যে কারণেই খরার শুরুতেই জল শূন্য হয়ে পড়েছে আত্রেয়ীর কিছু অংশ । এতে চাষের কাজে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা । তাদের জন্য অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা করুক রাজ্য।

বাংলাদেশ থেকে কুমারগঞ্জের সমজিয়া হয়ে আত্রেয়ী নদী প্রবেশ করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে । কিন্তু ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে কোন জল নেই ওই এলাকায় । কৃষ্ণপুর, দাউদপুর, রায়নন্দা, সমজিয়া, বালুপাড়া সহ কুমারগঞ্জের বিস্তৃর্ন এলাকায় কৃষকদের জন্য সরকারীভাবে ৪৯টি পাম্প সেন্টারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে । সরকারী ওই সেন্টারের এক একটি থেকে উপকৃত হন প্রায় দেড় হাজার কৃষক । কিন্তু আত্রেয়ী নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় ওই পাম্পসেটের মাধ্যমে আর জমিতে জল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না । এমন পরিস্থিতিতে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার কয়েক হাজার কৃষকেরা ।

তোফাজ্জুল সরকার, নূর আলম সহ একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন, কৃষিকাজই এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা। জলের অভাবে মরশুমের বোরো ধানের জমি শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। সরকারি পাম্পসেট দিয়ে উঠছে জল। বিকল্প ব্যবস্থাও গড়ে ওঠে নি এলাকায়। ফলে এক চরম দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে তাদের। প্রশাসন যাতে তাদের পাশে দাঁড়ায় সেই দাবীই জানিয়েছেন ।
জেলা শাসক সি মুরগান জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে ।