রায়গঞ্জ:—-নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রামপঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের বিরোধী দল তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এলাকায় পথ অবরোধ ও পঞ্চায়েত অফিসে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। তৃনমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ব্যাহত হল রায়গঞ্জ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত রামপুর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হামলার অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যরা।
রায়গঞ্জ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রায়গঞ্জ বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন বিরোধী দল তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার। মলয়বাবু তাঁর দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃনমূল কংগ্রেসের রামপুর অঞ্চল সভাপতি গৌতম সরকারের বিরুদ্ধেই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন। মলয়বাবুর আরও অভিযোগ মঙ্গলবার তিনি যখন পঞ্চায়েত অফিসে আসেন সেসময় তাঁর দলেরই নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল গৌতম সরকার তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। গুরুতর আহত হন তিনি। এই আক্রমনের ঘটনা নিয়ে মলয় সরকার রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি বুধবার রামপুর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে এলাকায় পথ অবরোধ ও গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে তালাবন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রামপুর গ্রামপঞ্চায়েত চত্বরে। যদিও আক্রমণের ঘটনা অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তথা রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গৌতম সরকার জানিয়েছেন, রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলে যে ৬ জন নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য রয়েছেন মলয় সরকার বাদে সকলেই তাঁর পক্ষে রয়েছেন। গৌতমবাবুর আরও অভিযোগ মলয় সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কোনও শৃঙ্খলা মানেন না। এখানে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। মলয়বাবু একাই পঞ্চায়েতের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। আমরা সম্পূর্ণ ঘটনা দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এদিকে তৃনমূল কংগ্রেসের এই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রামপুর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে দিনভর উত্তেজনা থাকে। ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে।