জেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার সময়ে নদী বাঁধ সুইসগেটের কি অবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এলেন সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর)।

0
627

শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ২৫ সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর:-শুক্রবার সারাদিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের টাঙ্গন নদীর বাঁধ, ও তার সুইচগেট গুলি পরিদর্শন করেন। আশ্বিনের বর্ষার সময় জেলার নদী বাঁধের কি অবস্থা রয়েছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে এলেন সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তরের) আধিকারিক। সেইসঙ্গে গঙ্গারামপুরের বজরা পুকুর, বোরডাঙ্গি , এলাকার গোয়ালখাড়ি, ৮ নং ওয়ার্ডের ইন্দ্র নারায়নপুর সরকারি কলোনি বাঁধ, সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন।তার সঙ্গে ছিলেন জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মহাকুমার ২ আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।এদিন তিনি জরুরী পর্যায়ে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কিভাবে নদী বাঁধ ও সুইচগেট গুলিতে দ্রুততার সঙ্গে তাঁর কাজ করতে হবে জেলা আধিকারিক ও দুই মহাকুমার অধিকারীদের বলে যান।

এদিন দুপুরে জেলার নদী বাধ ও নদী সংলগ্ন সুইচগেট গুলির আশ্বিনের বর্ষার সময় কি অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে আসেন সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) শ্যাম ব্যানার্জি। এদিন বালুঘাট শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদী বাঁধ ও তার সঙ্গে থাকা সুইচগেট গুলি কি অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। সেইসঙ্গে আত্রেয়ী নদীর বাঘের কোথায় কোন অসুবিধা আছে কিনা সে বিষয়ে জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস,সেচ দপ্তরের বালুরঘাট মহাকুমার আধিকারিক রঞ্জন রায়, গঙ্গারামপুর মহাকুমার সেচ দপ্তরের আধিকারিক দেবব্রত পাল সহ বিশিষ্টজনের সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে গঙ্গারামপুর এর অফিসের দিনই আলোচনা সারেন। এরপর এইসকল আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) শ্যাম ব্যানার্জি গঙ্গারামপুরের নয়াবাজারের পূর্নভবা নদী বাঁধ, বজরা পুকুর, গোয়ালখাড়ি বাধ, পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্র নারায়নপুর সরকারি কলোনি বাধ তার সঙ্গে থাকা সুইচগেট গুলি পরিদর্শন করেন। বিগত দিনে জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিকের নির্দেশে বালুরঘাট গঙ্গারামপুর ২ মহাকুমার আধিকারিকরা যেভাবে সেচ দপ্তরের উল্লেখযোগ্য ভাবে কাজ করেছেন সেজন্য চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) শ্যাম ব্যানার্জি তাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তে মোট বড় নদী রয়েছে পতিরাম এ আত্রেয়ী, গঙ্গারামপুর পূর্নভবা, এবং বংশীহারীতে টাঙ্গন নামে তিনটি নদী। সেইসঙ্গে জেলা সদর বালুরঘাট মহাকুমার হিলিতে রয়েছে যমুনা, গঙ্গারামপুরে ব্রাহ্মণী ও হরিরামপুরে চিড়া-মুড়ি নামে ছোট তিনটি মোট ৬টি নদী রয়েছে। এই ছোট নদী সংলগ্ন এলাকায় মোট ৬৮টি সুইচগেট রয়েছে। এরমধ্যে বালুরঘাট মহকুমায় ৩৬ টি, ও গঙ্গারামপুর মহাকুমার ত্রিশটি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধ ও তার সঙ্গে থাকা সুইচগেট গুলি কি অবস্থায় রয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে এসেছেন সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) শ্যাম ব্যানার্জি। আমরা তার সঙ্গে এসেছি। কোথাও কোন প্রয়োজন হলে দ্রুততার সঙ্গে কি করতে হবে তা আমাদের জানানো হয়েছে।

সেচ দপ্তরের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল জেলাবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here