
মালদা:- কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয় গাজোল ব্লকের আলমপুর এলাকায়।কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। প্রতিবাদ শেষে যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের এই যোগদান কর্মসূচিতে গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকার প্রায় তিন শতাধিক কর্মী যোগদান করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব থেকে ব্লক নেতৃত্ব সকলেই। অভিযোগ প্রতিবাদ মিছিল শেষে যোগদান কর্মসূচি মূলত ৩৪ নং জাতীয় সড়ক দখল করে চলতে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়কের রায়গঞ্জ মালদা গামী একটি লেনের যান চলাচল। রাস্তার উপরেই বসে যায় কর্মী-সমর্থক।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি কটাক্ষ করে জানিয়েছে তৃণমূলের আমলে এসব হয়। পুলিশের মদতেই জাতীয় সড়কের একটি লাইন বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিজেপির কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নামলে তাদের নামে ধরে ধরে কেস দিচ্ছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ এর উত্তর দেবে।
যদিও পাল্টা উত্তর দিয়েছেন গাজোল বিধানসভার বিধায়িকা দিপালী বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন করোনা আবহে এত জমায়েত করে কর্মসূচি নিতে চাইনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সাধারণ মানুষের আবেগকে আটকানো যায় নি। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। রাস্তা থেকে ৫০ মিটার দূরে তাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু এত মানুষের জমায়েত কিছুটা রাস্তার উপরে চলে গিয়ে থাকতে পারে। সকলকে অনুরোধ করে নিচে নামতে বলা হয়েছে বারবার। বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করেছে। এই কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধা হয়নি।
সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মসূচিকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যতই দিন এগিয়ে আসবে ততই রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য রাখে না।