বালুরঘাটে পুরসভার নাকের ডগাতেই দখলদারি!

0
73

বালুরঘাটে পুরসভার নাকের ডগাতেই দখলদারি! বছরের পর বছর তালাবন্দি সরকারি শৌচালয়, তুমুল চাঞ্চল্য থানামোড়ে

বালুরঘাট, ১০ ডিসেম্বর —–বালুরঘাট শহরের ঠিক বুকেই এখন বেপরোয়া দখলদারি! পুরসভার দপ্তর থেকে হাত বাড়ালেই পৌঁছে যাওয়া যায় যে সরকারি কমিউনিটি শৌচালয়ে, সেই শৌচালয়ই নাকি বছরের পর বছর তালাবন্দি। অভিযোগ—সেটিকে কার্যত ‘নিজেদের সম্পত্তি’ বানিয়ে নিয়েছেন বালুরঘাটের যুব কম্পিউটার সেন্টারের একাংশ কর্মী। শহরের প্রানকেন্দ্র থানা মোড়ে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

জনসাধারণের ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে পুরসভা যে শৌচালয় তৈরি করেছিল, সেখানে দিনের পর দিন তালা ঝুলতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যবসায়ী থেকে রাস্তায় দাঁড়ানো সাধারণ মানুষ—সকলেরই প্রশ্ন, “পুরসভা অফিসের পাশেই এমন দখলদারি চলতে পারে কী করে?” সরকারী কমিউনিটি শৌচালয় যা সাধারণ মানুষের ব্যবহারের কথা, সেখানে রীতিমতো তালা ঝুলিয়ে কেন ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছে থানা মোড় সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও পথ চলতি মানুষেরা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে কমিউনিটি শৌচালয় এমন বলপূর্বক দখল করে থাকলেও পুরসভা কতৃপক্ষই বা কেন উদাসীন রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

যদিও এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব কম্পিউটার সেন্টারের এক কর্মীর ব্যাখ্যা—শৌচালয় খোলা রাখলেই নাকি জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তাই তারা ‘সুরক্ষার স্বার্থে’ তালা লাগিয়েছেন। তাদের দাবি, চাবি কয়েকজনের কাছেই রয়েছে। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি তালাবন্দি করে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করার অধিকার কার? এই মূল প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন সকলে।

বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, “এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শহরের প্রাণকেন্দ্রে সরকারি শৌচালয় দখলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের ক্ষোভ—“পুরসভার সামনেই যদি এমন দখলদারি চলে, তবে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here