গঙ্গারামপুর ব্লকের বি এল এল আর অফিসের বড়বাবু অফিসে বসেই নিচ্ছেন ঘুষ, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়,গ্রেপ্তারের দাবি দুজনকেই,তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তৃণমূল নেতার
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৯ শেই নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের বি এল এল আর ও দপ্তরের অফিসের বড় বাবুর বিরুদ্ধে অফিস চলাকালীন সরকারি দপ্তরের চেয়ারে বসে ঘুষের অভিযোগের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের প্রতিনিধি। এমন ঘটনায়বিব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।গঙ্গারামপুরবাসীর অভিযোগ, যিনি ঘুষ নিচ্ছেন ও জিরি দিচ্ছেন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কঠোর সাজা দেক প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রাজনীতির কাদা ছেড়াছেড়ি শুরু হলে শাসকদলের মুহুরী সংগঠনেরকে বদনাম করার জন্য এমন ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা অসিত মালাকার। অভিযুক্ত দুজন মুখে কুলুপ আটলেও ঘুষখোর বড়বাবুর পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ব্লকের বি এল এল আর ও সুখেন রায়।
বুধবার দুপুর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিও ঘোরাফেরা করতে শুরু করে। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গঙ্গারামপুর ব্লকের বি এল এন্ড এল এল আরও বিভাগের অফিসের এক আধিকারিক যিনি বড়বাবুর দায়িত্বে রয়েছেন।তিনি এক ব্যক্তির কাছে থেকে ৫০০টাকার নোট নিয়ে তার মানিব্যাগে লুকিয়ে ফেলছে খুব তাড়াতাড়ি।সোশ্যাল মিডিয়ায় জৈনক এক ব্যক্তি ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করেছেনা, তিনি ঘুস নিচ্ছেন তিনি আর কেউ নন দপ্তরের বড় বাবু।যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের প্রতিনিধি।সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “গঙ্গারামপুর বি এল এল আর ও অফিসের বড়বাবু অখিল সাহেবের ঘুষ নেওয়ার সিস্টেমটা কিন্তু অসাধারণ।”ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে এক মুহুরী বিএল এল আর ও অফিসের বড়বাবু অখিল পাল ঘরে ঢুকলেন,অখিল বাবুর হাতে একটি চিরকুট দিলেন আর বললেন “এটা করে দিয়েন।” তার পর ওই মুহুরী পকেট থেকে ৫০০টাকার একটা নোট বের করলেন আর চুপিসারে বড়বাবুর হাতে দিয়ে দিলেন।বড় বাবু সেটা পকেটেও গুঁজে রাখলেন তার মানিব্যাগের মধ্যে।এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।যা নিয়ে নিন্দার ঝড় গঙ্গারামপুরে। গঙ্গারামপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ ,”এই দপ্তরটি কার্যত ঘুষের দপ্তরে পরিণত হয়েছে। যিনি ঘুষ দিয়েছেন তাকে ও যিনি সরকারি অফিসে বসে ঘুষ নিয়েছেন তাদের গ্রেফতার করে কঠোর সাজা দেওয়া হোক সেই দাবি জানাই আমরা।” গঙ্গারামপুর ব্লকের বি এল এল আর ও সুখেন্দ্র রায় অবশ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত ঘুষ নেওয়া বড়বাবুর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন,”উনি দপ্তরের বড়বাবু, তাই চালান কাটার টাকা নিতে পারেন। আপনারা বলছেন তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও দপ্তরের বড়বাবু ও যিনি ঘুষ দিয়েছেন ওই মুহুরী তারা দুজনই সাংবাদিকদের সামনে এই কথাই বলেছেন তারা দপ্তরে কাজের টাকা দিয়েছেন ও তিনি তা নিয়েছেন।এতে অন্যায় কিছু তিনি করেননি রাতা।” শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুহুরী সংগঠনের নেতা অসিত মালাকার অবশ্য বলেন,” তাকে উদ্দেশ্য করে যে ধরনের পোস্ট করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।ঘটনায় যারা দোষী হোক না কেন প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই সে দাবি জানান তিনি।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা জানিয়েছেন,”বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনতে পেলাম খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন উঠেছে, এই দপ্তর ঠিকই তাহলে আর শুধরাবে না। চলবে একের পর এক অনিয়ম, প্রশাসনের সর্বস্তরের নেতৃত্বরা তাহলে কোথায় সেই প্রশ্নই তুলে খোঁচা দিয়েছেন গঙ্গারামপুরবাসী।

















