তপনে একাদশ শ্রেণীর ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল,কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা দপ্তরের,ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের সংস্থা
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট,১৮ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা ‘ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের সাংবাদিক সংস্থা।
জানা গিয়েছে,ওই স্কুলে প্রায় ৭০০বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ২৩ জন।অভিযোগ,মঙ্গলবার ক্লাস কিছু সময় বন্ধ থাকাকালীন কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসরুমের মধ্যেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছে।ভিডিওতে এমন দুটি দৃশ্য দেখা গেছে বলে জানা যায়।ওই সময় অন্য কিছু ছাত্রছাত্রীকে ভিডিওতে হাসতে ও মোবাইলে গান চালাতে দেখা গেছে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের সংস্থা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন,“সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নিয়ে কোনও ছাত্রছাত্রী ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে পারে না।ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে,তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) দেবাশীষ সমাজদার জানান,“মোবাইল নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে ক্লাসরুমে ঢুকল,তা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে।ঘটনাটি গ্রহণযোগ্য নয়।তদন্তে যারা দায়ী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”। জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন,“শিক্ষকদের আরও সচেতন থাকা উচিত ছিল। না হলে ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।”
জেলা কংগ্রেস নেতা নন্দন দাস মন্তব্য করেন,“সরকার যদি ছাত্রছাত্রীদের হাতে মোবাইল তুলে দেয়,তাহলে এমন ঘটনা হবেই।এতে স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতনতা জরুরি।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরা বলেন,“শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে হলে শিক্ষকদের কঠোর হাতে এই ধরনের ঘটনার মোকাবেলা করতে হবে। তবেই আগামী দিনের ছাত্রছাত্রীরা সঠিক পথে এগোতে পারবে।” স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন ,খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনর তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস জানান,“স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা দপ্তর তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সেই দাবি জনাই ।” ঘটনাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের একাংশের প্রশ্ন—যদি শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এভাবে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, তবে সমাজ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রশ্নই তুলেছেন তারা।




















