শেষযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া!

0
78

শেষযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া! এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় বালুরঘাটে আরও এক বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন পুরসভার

বালুরঘাট, ৩০ অক্টোবর ——খিদিরপুর শ্মশানের দীর্ঘদিনের চাপ এবার ভাগ করে নেবে শহরের চকভবানী। এক কোটি পঁচাত্তর লক্ষ টাকার প্রকল্পে সেখানে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলর ও আধিকারিকরা।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, খিদিরপুর শ্মশানেই এতদিন বৈদ্যুতিক চুল্লির মাধ্যমে শহর এবং জেলার বিভিন্ন ব্লক— কুমারগঞ্জ, তপন, হিলি-সহ আশপাশের এলাকার মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা ছিল। ফলে দিনের পর দিন বাড়ছিল চাপ। অনেক সময় একাধিক দেহ একসঙ্গে এলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হত পরিজনদের। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানেই নতুন চুল্লি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা।

চকভবানী মহাশ্মশানে তৈরি হতে চলা এই চুল্লি হবে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর। সৎকারের সময়কাল কমবে, দূষণও অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় এক কোটি পঁচাত্তর লক্ষ টাকা। পুরসভা মনে করছে, নতুন এই পরিকাঠামো শহরবাসীর জন্য এক বড় স্বস্তি আনবে।

চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, “শহরের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি সৎকারের চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের কষ্ট কমাতে আধুনিকতার পথে হাঁটছে বালুরঘাট পুরসভা।”

শহরবাসীর প্রত্যাশা— নতুন বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হলে মৃতদেহ সৎকারের প্রক্রিয়া যেমন আরও দ্রুত ও পরিবেশবান্ধব হবে, তেমনি খিদিরপুর শ্মশানের বহু দিনের চাপও অনেকটা লাঘব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here