বিপ্লব ঘনিষ্ঠেই আস্থা রাজ্যের! দক্ষিণ দিনাজপুরের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ, হতাশা মন্ত্রী বিরোধী শিবিরে
বালুরঘাট, ১৫ অক্টোবর —- বিধানসভা ভোটের মুখে ফের তোলপাড় দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদে। জেলা সভাপতি পদে বড়সড় রদবদল করল রাজ্য নেতৃত্ব। প্রাক্তন সভাপতি অমরনাথ ঘোষকে সরিয়ে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতি করা হয়েছে বালুরঘাটের সৃঞ্জয় সান্যালকে— যিনি পরিচিত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে জেলার ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন অমরনাথ। কিন্তু নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, সংগঠনকে প্রত্যাশিতভাবে মজবুত করতে পারেননি তিনি। রাজ্য নেতৃত্বও ক্ষুব্ধ ছিল সেই নিয়ে। এরই মধ্যে বালুরঘাট কলেজে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনাও বিতর্কে জড়ায় অমরনাথের নাম। ভোটের মুখে সংগঠনে নতুন উদ্দীপনা আনতেই এই পরিবর্তন বলেই মনে করা হচ্ছে।
নতুন সভাপতি সৃঞ্জয় সান্যাল এর আগে জেলা ও কলেজ সংগঠনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৌশিক সাহা ওরফে ‘হ্যালো’র ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক সাহার দাবি, “সৃঞ্জয়ের হাতে দায়িত্ব যাওয়া মানে সংগঠনের ভিত আরও মজবুত হওয়া। বিধানসভা ভোটের আগে এই রদবদলই জেলা সংগঠনকে নতুন দিশা দেবে।”
অন্যদিকে, দায়িত্ব থেকে সরানোর পর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অমরনাথ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “যোগ্য ব্যক্তি জায়গা পায়নি। সৃঞ্জয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সংযোগ তেমন ছিল না।” তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে স্পষ্ট, রাজ্য নেতৃত্বের আস্থাভাজন হয়ে ওঠাই সৃঞ্জয়ের উত্থানের মূল কারণ।
দায়িত্ব হাতে পেয়েই সৃঞ্জয় জানান, “ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে নামব। লক্ষ্য, দক্ষিণ দিনাজপুরের ছ’টি আসনই তৃণমূলের হাতে তোলা।” এদিন ফুলের তোড়া ও মিষ্টি মুখে নবনিযুক্ত সভাপতিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে অনুগামীরা। ছাত্র রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হল দক্ষিণ দিনাজপুরে।