ভিক্ষা করে বাড়ি ফেরার পথে মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের সামনেই মেয়েকে ধর্ষণ যুবকের, অভিযুক্তকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে গ্রামবাসীরা পুলিশে দিল, পাঠানো হলো আদালতে,দেওয়া হলো চার দিনের পুলিশি হেফাজতও শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৯ অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর। ভবঘুরে মা ও মেয়ে ভিক্ষা করে বাড়ি ফেরার পথে মায়ের সামনেই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ঘটনায় হাতেনাতে ধরে ফেলল এলাকাবাসীরা।উত্তম মাধ্যম দিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার অন্তগত জনগা ঝিলঝিল গ্রামের বাসিন্দা যুবক লক্ষণ মল্লিক(৩২)কে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় কুশমন্ডি থানার পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার পেত্নীদিঘী এলাকায়। জানা গেছে,বংশীহারী থানার ডিটোল এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও তার মেয়ে দুজনে ভিক্ষা করতে বিভিন্ন থানা এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেড়ান। ঘটনাস্থলের এলাকাবাসীরা জানান,মা ও মেয়ে দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। ঠিকভাবে কথা তারা বলতেও পারেন না তারা দুজনই।বুধবার সন্ধ্যা হতেই কুশমন্ডি এলাকা থেকে ভিক্ষা করে মা ও মেয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার জনগা ঝিলঝিল গ্রামের যুবক কুশমন্ডি এলাকায় পেত্নীদিঘী কাজ করতে এসেছিল।সেই সময় মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের সামনেই ওই যুবতীকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীর চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতেই এলাকার লোকজন সেখানে ছুটে আসে।তখনই ওই যুবককে ধরে গ্রামবাসীরা উত্তম মাধ্যম দিয়ে কুশমন্ডি থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও মেয়ে সেইভাবে কোন কথাই বলতে পারেননি,শুধু মাথায় দিলে যেন জানিয়ে দিলেন কঠোর শাস্তি দাবি জানায় অভিযুক্তের। এমন ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে আসে হরিরামপুর বিধানসভার যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মাসুম মোল্লা ও বংশীহারী ব্লকের কংগ্রেস নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জামাউর রহমান ,রেজাউল করিম সহ আরো অনেকেই। এবিষয়ে যুব কংগ্রেস নেতা মাসুম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন,”অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই আমরা। আদালতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও মেয়েকে সহযোগিতা করার জন্যই আসা হয়েছে। বিচারে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হোক সেই আশায় রাখবে।” গঙ্গারামপুর এট বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার জানিয়েছেন,”পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে আদালতে পাঠিয়েছিল।বিচারক অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।”