শিক্ষক জামাইয়ের বেটিং সাম্রাজ্যে কেঁপে উঠল বালুরঘাট, জানেই না শ্বাশুড়ি! সাংবাদিক বৈঠক ডেকে খোলসা পুলিশ সুপারের
বালুরঘাট, ১৫ সেপ্টেম্বর —– শ্বশুরবাড়ির ঠাকুরের সিংহাসন আর খাটের তলার গোপন ভাঁড়ার—তার মধ্যেই লুকিয়ে কোটি টাকার অন্ধকার সাম্রাজ্য! শহরের শান্তশিষ্ট রঘুনাথপুরে এমন কাণ্ড ফাঁস হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বালুরঘাট জুড়ে। অভিযুক্ত আর কেউ নন, পেশায় শিক্ষক, জামাই অপূর্ব সরকার। অভিযোগ, অনলাইন জুয়া ও বেটিং চক্রে নগদ অর্থ লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গঙ্গারামপুরে প্রথমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরায় উঠে আসে বড় মাথাদের নাম। তার পর গ্যাংটক থেকে পাকড়াও হয় অপূর্ব সরকার ও কুনাল দাস। আর তার পরই স্তম্ভিত তদন্তকারীরা। অপূর্বর নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু আসল বিস্ফোরণ ঘটে বালুরঘাটের শ্বশুরবাড়িতে। ঠাকুরঘরের সিংহাসন ও খাটের তলা খুঁড়ে পুলিশ পায় এক কোটি ১৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে নগদের পাহাড় দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৭ হাজারে।
যদিও এনিয়ে অপূর্বর শ্বাশুড়ি শিখা মজুমদার দাবি করেছেন, এত টাকা তাঁর বাড়িতে লুকোনো ছিল, সে খবর তিনি জানতেনই না। তবে পুলিশের মতে, এই জাল চক্রের নেপথ্যে আরও বড় মাথা লুকিয়ে থাকতে পারে। ধৃতদের জেরা করে গোটা নেটওয়ার্কের খোঁজে নেমেছে তদন্তকারীরা।
ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় মানুষও। শহরের ভদ্র পাড়ার অন্দরমহল থেকে হঠাৎ কোটি টাকার ভাণ্ডার উদ্ধারে প্রশ্ন উঠছে—আর কত অচেনা বাড়ির ভেতরেই বা লুকিয়ে আছে অনলাইন জুয়ার এই গোপন সাম্রাজ্য?