জলপাইগুড়ি:-
ছেলে আটকে নেপালে, উৎকন্ঠায় জলপাইগুড়ির ভট্টাচার্য পরিবার।
জলপাইগুড়ির গোমস্তাপাড়ার যুবক ময়ুখ ভট্টাচার্য ( ২৬)। মা, বৈশালী ভট্টাচার্য, বাবা মিহির ভট্টাচার্য, কৃষি দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। ময়ুখ ভট্টাচার্য জলপাইগুড়ির কৃতি সন্তান, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে ভারত সরকারের কৃষি মন্ত্রকের “কস্ট অফ কাল্টিভেশন প্রোজেক্ট” এ “ইয়ং প্রফেশনাল” হিসেবে কর্মরত। একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে গত ৫ই সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি হয়ে সড়কপথে নেপালের কাঠমান্ডুতে যান। ৬সেপ্টেম্বর থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই সেমিনার চলে। সেখানে তিনি পুরস্কৃতও হন। ৯সেপ্টেম্বর তার সড়কপথেই জলপাইগুড়ি ফেরার কথা ছিলো। হোটেল থেকে বেরিয়েও ছিলেন। ততক্ষণে হিংসার আগুন জ্বলতে শুরু করেছে নেপালে। ফিরতে না পেরে হোটেলে ফিরে আসেন তিনি। তার সঙ্গেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর তিনজন ছিলেন বিভিন্ন জেলার। তাদেরও একই অবস্থা। সেইদিন থেকে তারা কাঠমান্ডুর শম্ভুমার্গ রোডের সেই হোটেলে প্রায় বন্দী। নিরাপত্তার জন্য হোটেলের বাইরে চলছে সেনার টহল। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়া হোটেল থেকে হাটাপথেই সেনাবাহিনীর পাহাড়ায় এয়ারপোর্টে যান। তবে এদিন ফেরার ব্যবস্থা হয়নি। কারণ প্রচুর যাত্রী এয়ারপোর্টে। টিকিট নেই। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেরার চেস্টা করছেন। তবে কবে ফিরতে পারবেন তা এখনো জানা নেই।
এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির গোমস্তাপাড়ার বাড়িতে উৎকন্ঠায় মা বৈশালী দেবী, বাবা মিহির ভট্টাচার্য। নেপালের অগ্নিগর্ভ অবস্থায় একমাত্র ছেলে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে সেই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাদের। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিলো বলে জানা গিয়েছে। দম্পতি চাইছেন সরকার উদ্যোগ নিয়ে আটকে পড়া ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।